ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইস্ট নুসা তেঙ্গারা এলাকায় মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ৭.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। পর্যবেক্ষকেরা ভূমিকম্পের পর বিপজ্জনক সুনামি ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিলো মওমেরে শহর থেকে প্রায় একশ’ কিলোমিটার উত্তরে মাটির ১৮.৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে। প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল থেকে এক হাজার কিলোমিটার উপকূল জুড়ে বিপজ্জনক ঢেউ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
ইউএসজিএস বলছে, ভুমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম। তারা জানিয়েছে, এই এলাকায় সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ভূমিকম্পগুলোতে দ্বিতীয় মাত্রার বিপদ হয়েছে আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতিতে ভূমিকা রেখেছে সুনামি ও ভূমিধ্বস।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের প্রাথমিক হিসাবে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭ দশমিক ৩ ছিল বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, ইউরোপিয়ান-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিকাল সেন্টার ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৭ হতে পারে বলে অনুমান করছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত প্রত্যক্ষ করে। ২০০৪ সালে সুমাত্রা উপকূলে ৯.১ মাত্রার এক ভূমিকম্প ও এরপরের সুনামিতে এই অঞ্চলজুড়ে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায় এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ।
২০১৮ সালে লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়। গত বছর সুলাওসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে চার হাজার তিনশ’ মানুষের মৃত্যু হয়।
ইবাংলা টিপি/১৪ ডিসেম্বর,২০২১