লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন, পাসপোর্ট, ভিসা ও এনভিআর-এর কাজে ব্যবহৃত সার্ভারটি যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে হঠাৎ সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে মারাত্মক সংকটে পড়েছেন বাংলাদেশে গমনেচ্ছু ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সার্ভারের মূল কারিগরি বিষয়গুলো ঢাকাস্থ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বিধায় ১৪ ডিসেম্বর থেকে অদ্যাবদি হাইকমিশনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তা পুনরায় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। সার্ভারটির এই সংকটময় অবস্থার কথা ইতোমধ্যেই ঢাকাস্থ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরকে জানানো হয়েছে এবং ঢাকা হতে একটি উচ্চপর্যায়ের কারিগরি টিমের জরুরি ভিত্তিতে দ্রুততার সঙ্গে লন্ডন পৌঁছানোর প্রতিশ্রতি পাওয়া গেছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হাইকমিশনে অদ্যাবধি জমাকৃত সকল পাসপোর্ট, ভিসা ও এনভিআর আবেদনগুলো জরুরিভিত্তিতে ম্যানচেস্টার ও বার্মিংহাম সহকারী হাইকমিশন হতে প্রক্রিয়াকরণপূর্বক লন্ডনস্থ হাইকমিশন থেকে ডেলিভারি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যেসকল ব্রিটিশ ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীর জরুরিভিত্তিতে আগামীকাল বা দ্রুত ঢাকা ভ্রমণের প্রয়োজন রয়েছে, তাদের ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অথবা বাংলাদেশস্থ অন্য কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে অন অ্যারাইভাল ভিসা সংগ্রহের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
এদিকে এই ঘোষণার পর ক্রিসমাস হলিডেকে ঘিরে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত অনেক প্রবাসীর মাথায় হাত পড়েছে। অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশে গিয়ে ভিসা নেয়া অনেক জটিলতা।
এস রহমান নামের একজন প্রবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি ইতোমধ্যেই ফিসহ ৩টি পাসপোর্টের এনভিআরের জন্য জমা দিয়েছেন। তার পাসপোর্ট ফেরত পেলেও হাইকমিশন জমাকৃত ফি ফেরত দিচ্ছে না।
হাইকমিশন থেকে বলা হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে পাসপোর্ট ও রিসিট নিয়ে আসলে তখন আগের জমা দেয়া ফি’র সঙ্গে এডজাস্ট করা হবে।
এস রহমান বলছেন, তিনি ১১ বছর পর দেশে যাবেন। এবার গিয়ে আসার পর আর কতো বছর পর যাবেন ঠিক নেই! সেক্ষেত্রে তিনি কিভাবে ফি ফেরত পাবেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাভেলস ব্যবসায়ী বলছেন, এনভিআর আর ভিসা জটিলতার কারণে অনেকেই এখন টিকেট ক্যানসেল করছেন। এমনিতে কোভিডের জন্য ব্যবসায় মন্দা। এর মধ্যে যাত্রীদের টিকিট বাতিল!
দীর্ঘদিন হোম অফিসে ভিসা জটিলতায় থাকা শারফিন রহমান নামের একজন বলছেন, হোম অফিস নতুন পাসপোর্ট করে অতি দ্রুত জমা দিতে বলেছে। এখন যে সমস্যায় পড়লাম কবে যে হোম অফিসকে পাসপোর্ট দিতে পারব তার নিশ্চয়তা নেই।
ইবাংলা /টিআর/ ১৭ ডিসেম্বর