পর্ব-১
প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। জন্ম হয়েছে তাঁর জাতীয় রাজনৈতিক পরিবারে। যাঁর রক্তের প্রতিটি কনিকায় বহমান আদর্শিক রাজনৈতিক স্রোত। প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের অঙ্গীকারবদ্ধ একজন তরুণ রাজনীতিবিদ।
বাবা- প্রয়াত জননেতা মোহাম্মদ নাসিম উপমহাদেশের একজন বর্ষীয়ান রাজনিতীবিদ। মাতা-লায়লা আরজুমান্দ। বাবা মোহাম্মদ নাসিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপত্র, ছিলেন ছয়বারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পিতামহ শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল হওয়ার কারণে কারাগারে প্রাণ দিতে হয় ঘাতকের বুলেটে।
বাংলাদেশসহ বিশ্ব রাজনীতিতে তিনি ছিলেন আপোষহীন এক জাতীয় নেতা। যাাঁর রাজনীতির ইতিহাস উপমহাদেশের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
পিতামহ ও বাবার পথে হেটেই বিশ্বমানবতার “মা” বিশ্ব নেতৃত্বের রোল মডেল, সমগ্র বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারক ও বাহক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করাই তাঁর আদর্শ।
দল ও দলের সার্বিক উন্নয়ন প্রচার প্রচারণায় সার্বক্ষণিক চষে বেড়াচ্ছেন নিরলসভাবে দেশ ও দেশের বাইরের গন্ডিতে। আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সফলতা উন্নয়নকে পৌছেঁ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষের দৌরগোড়ায়।
তানভীর শাকিল জয় সুনিপুনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দল ও দলের নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন আর সুখ দুঃখের সাথী হয়ে। পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে, করবেন আগামি দিনেও। পথ চলছেন সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে, জয় করে নিচ্ছেন তৃণমূল নেতাকর্মীসহ দলের সিনিয়র ও বর্ষীয়ান নেতাদের ভালোবাসাও।
জেল হত্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। ১৯৭৫ সালের ০৩ নভেম্বর জেল হত্যার ফলে নিহত চার নেতার মধ্যে শহীদ ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলীও একজন। তারুণ্যের অহংকার সাংসদ তানভীর শাকিল জয়, প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছেন উন্নয়নের কাজে।
মহামারী করোনা ঘাতকও তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েও, এলাকার হত দরিদ্র জনগোষ্ঠির কথা ভাবছেন সবসময়। তাঁর ভরসা একমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।
তাঁর সংসদীয় এলাকা কাজীপুর হলেও, পুরো সিরাজগঞ্জ জেলা জুড়ে রয়েছে জনপ্রিয়তা। সিক্ত আছেন আপামর জনগণরে ভালোবাসা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিবারে অর্থাৎ তার দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের আশির্বাদের হাত রয়েছে তার মাথায়।
স্বাধীনতার মহান স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার উন্নয়নে রাজনীতি, পিতামহ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, জন্ম দাতা পিতা মোহাম্মদ নাসিম আর এলাকা দরিদ্র মানুষ নিয়েই তাঁর স্বপ্ন বিভোর।
পিতামহ, পিতা, চাচা এক কথায় তাঁর পরিবারের সবাই ছিলেন, আছেন স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য। তিনি নিজেও জাতীয় সংসদের সম্মানীত সদস্য অথচ অতি সাধারণ একজন মানুষের মতোই চলেন তানভীর শাকিল জয়। দরিদ্র মানুষের সাথে মিশে চলাই তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট।
যেখানে নদী ভাঙনে মানুষ দিশেহারা সেখানেই তারঁ স্বপ্ন আগামী দিনের যমুনা নদীর কোল ঘেষে গড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জ জেলাকে তিনি পর্যটন নগরী হিসেবেই গড়ে তুলতে চান। বিদেশী ভ্রমণ পিপাষু পযর্টকরা আকৃষ্ট হবেন পযর্টন নগরী সিরাজগঞ্জকে দেখে।
প্রকৌশলী- সাংসদ তানভীয় শাকিল জয় ,পুরো সিরাজগঞ্জকে ঢেলে সাজাতে চান। কেননা, সিরাজগঞ্জ একটি ঐতিহাসিক নগরী। যমুনা নদীর উপর স্থাপনা বঙ্গুবন্ধু সেতু। এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন যে কোনো পযর্টক।
শাহজাদপুর কুঠিবাড়ি, শাহ মাখদুম মসজিদ, সালদার ইসলাম হোসেন সিরাজীর বাড়ি, গনিত যাদব চক্রবর্তীর বাড়ি, হাটি কুমরুলের মন্দির ইত্যাদি। জাতীয় সংসদের এই তরুণ আইন প্রণেতা প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় নিজের পারিবারিক আভিজাত্য ঐতিহ্যের চেয়েও এসব ঐতিহাসিক বিষয়গুলোর প্রতি ভাবনা যেনো অনেক বেশি। এ জন্য সিরাজগঞ্জ তাঁর যেনো প্রাণ।
পিতা বর্ষীয়ান রাজনীতিক প্রয়াত জননেতা মোহাম্মদ নাসিমের উত্তরসূরী প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় পিতামহ আর বাবার মতোই সদা সর্বদা জাগ্রত রাখেন দেশপ্রেম আর দেশের মানুষের প্রতি অসীম ভালোবাসা।
এই তরুণ রাজনীতিক ও জাতীয় সংসদের ২ বারের নির্বাচিত আইন প্রণেতা প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি ব্যক্ত করেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হয়ে জননেত্রি শেখ হাসিনার নির্দেশে সিরাজগঞ্জের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে পিতামহ এবং বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সকলকে এক ছাতার তলে রেখে রাজনীতিসহ এলাকার সর্বত্র সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যেতে চান। >>>>> চলবে।
ইই/ ফি/ইরা/ ২ জুলাই, ২০২১