ওমিক্রন ঠেকাতে নেদারল্যান্ডসে কঠোর লকডাউন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা। এ নিয়ে সতর্কাবস্থায় থাকার কথা জানিয়েছে‘ হু’। এবার ওমিক্রন মোকাবিলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ভাইরাসের এই ধরনটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বড়দিন উৎসবকে সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় দোকান, স্কুল, বার, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য পাবলিক ভেন্যুগুলো কমপক্ষে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে বাসা-বাড়িতে বা ঘরোয়া কোনো অনুষ্ঠানে দু’জন করে অতিথি অংশ নিতে পারবেন। আর ছুটির দিনগুলোতে চাইলে এই সংখ্যা চারজনে হতে পারে বলে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নেদার‌ল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট এই লকডাউন ও বিধিনিষেধকে ‘অনিবার্য’ বলে উল্লেখ করেছেন। রোববার থেকেই ইউরোপের এই দেশটিতে কঠোর এই লকডাউন কার্যকর হয়েছে। ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ইউরোপের দেশগুলোতেও চলছে নানা স্তরের বিধিনিষেধ। তবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় নেদার‌ল্যান্ডসের এই বিধিনিষেধ ও লকডাউনই সবচেয়ে কঠোর।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নেদার‌ল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট বলেন, ‘খুবই দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি এখানে এসেছি। এবং আমাকে যারা দেখছেন- তারাও একই অনুভূতি পাচ্ছেন বলে আমি মনে করি। মোটের ওপর এক কথায় বললে, নেদারল্যান্ডস আগামীকাল (রোববার) থেকে লকডাউনে যাচ্ছে।’

দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন সুপার-স্প্রেডার, দ্রুতগতিতে ছড়াতে পারে। তবে এর গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টির ক্ষমতা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের চেয়ে অনেক কম। ওমিক্রনের কারণে কোনো জটিল রোগও হতে দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপরই তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। করোনার বি.১.১.৫২৯ নামক এই ভ্যারিয়েন্টকে গ্রিক বর্ণমালার ১৫ নম্বর অক্ষর অনুযায়ী ‘ওমিক্রন’ নামকরণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ইবাংলা / টিপি/ ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১

ওমিক্রননেদারল্যান্ডসলকডাউন
Comments (0)
Add Comment