‘বিমানবন্দর নাকি পাগলা গারদ!’

ফারাবী হাফিজ

কাতারে যে আইরিশ টুরিস্টকে বিউটিফুল বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রায় দুই ঘণ্টা ধারণা দিলাম, প্লেন থেকে নেমেই লজ্জায় আমি ওর দিকে তাকাতে পারি নাই! মুখ থেকে শব্দ ফুরিয়ে গেসিলো আমার।ঢাকায় নেমে মাথায় এই প্রশ্নই আসলো!এটা কি বিমানবন্দর নাকি পাগলাগারদ!

কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর বললাম- কোনো দুর্ঘটনা মনে হয়। চিন্তা করো না।মনে মনে কইলাম- ওয়েলকাম টু বাংলাদেশ!প্লেন থেকে নেমেই কট। ২০০ মিটার আসতে ৩টা ঘণ্টা!তাও আবার মাঝখানে এক ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার চিনতে পেরে আমাকে আর ওকে কোনাকুনি নিয়ে গেলো। ৩০ মিটার পথ মানে আরও দেড় ঘণ্টা বাঁচলো!

লাইনে দাঁড়ানো প্রবাসীদের ভোগান্তি এবং তাদের সাথে ব্যবহার দেখে মনে হলো, প্রত্যেকের হাতে পায়ে ধরে, বারবার ধরে মাফ চাওয়া দরকার।হাত-পা ধরে মাফ চাওয়া ডেস্ক নামে এমন একটা ডেস্ক বানানো যায় কি না- ভাববেন আপনারা স্যার। ‌লেখক : সংবাদকর্মী

ইবাংলা / নাঈম/ ২০ ডিসেম্বর, ২০২১

পাগলাগারদবাংলাদেশবিমানবন্দরসংবাদকর্মী
Comments (0)
Add Comment