পরীমনির এক ঘটনায় দেশজুড়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। মামলা, থানা, পুলিশ সবই হলো; কিন্তু তারপরও এ নায়িকাকে নিয়ে যেন সমালোচনার শেষই হচ্ছে না। এসব বিষয়ে বেশ বিরক্ত এ নায়িকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ফেসবুকে এ নিয়ে একটিপোস্ট করেন তিনি।
সেখানে তিনি লিখেন, সমস্যা হইলো …আমি মাইয়া লোক কিন্তু লুতুপুতু মাইয়া টাইপ আচরন করিনাই আপনার সাথে, ঘইটা গেল সমস্যা! চিকন সুরে ভাইয়া ভাইয়া করিনাই আপনারে,বিশাল সমস্যা! কাজের ফাঁকে আলগা রসের পিরিতের আলাপ করিনাই, ব্যাস এইতো সমস্যা! কাজে মত প্রকাশের অধিকার দেখাইছি,তাতেই সমস্যা! আপানার চোক্ষের সামনে আরো পাঁচ-দশ জনের মতো না হারাইয়া যাইয়া দিন দিন ক্যারিইয়ার বানাইতেছি, নাম কামাইতেছি..এইখানে হইয়া গেল সমস্যা!
আপনি পরিচালক হইয়া ৫ বছরে একটা সিনেমা বানান আর আমার এক বছরে পাঁচ সিনেমা রিলিজ হয়, আমার তো প্রচুর সমস্যা! আপনারে প্রযোজক বাগাইতে দিলামনা, ওরে সমস্যা! শুটিং সেটে উহ আহ করা দামরা ধইরা নগদে থাপড়াই, চরম সমস্যা! কোনরকম চামচামি না নিয়া আপনার মুখের উপরে তিতা সত্য বইলা দেই, আমারই তো সমস্যা! তারপর তো বিড়ি খাওয়া, মদ খাওয়া, প্রেম করা, বিদেশে ইচ্ছা মত ঘুরতে যাওয়া, শুয়োরের বাচ্চা-বালছাল বইলা গালিটালি দেওয়া, পিরিয়ড নিয়া কথা বলা এইগুলাতো আছেই!
তিনি আরও লিখেন, পাইছেন কই এইগুলা? আমিই তো দিছি। আপনাদের মন ভরে না কেন বলেন তো!? টুপ কইরা কথায় কথায় চরিত্র হাতাইতে আসেন! বাসার মধ্যে মদের খালি বোতলের শোপিস দেইখা চরিত্র বুইঝা ফেলেন কেমনে বলেনতো!? বাসায় যে জায়নামাজ,কোরআন, নামাজের ঘর আছে সেইটা কেন দেখতে পাইলেন না আপনে!?
আহারে একটু জিরান এইবার। ক্ষমা দেন। অন্যায়কে অন্যায় বলতে শিখেন! অপরাধিকে অপরাধি বলতে শিখেন। একটা ন্যায়ের জন্যে লড়াইয়ের সাথে থাকেন। না পারলে এইবার অন্তত নিজের ব্যাক্তিগত হিংসাত্মক আক্রমণ কইরেন না প্লিজ। এই লড়াই শুধু যে আমার একার না এইটা বোঝার সু-জ্ঞান উদয় হোক সবার।