শ্রমিক নির্যাতন ও কর্মপরিবেশ সংক্রান্ত অভিযোগ বাড়ছে মালয়েশিয়ায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ মালয়েশিয়া। দেশটিতে কাজ করে ২০ লাখের বেশি বিদেশি শ্রমিক। মালয়েশিয়ার অর্থনীতির বেশির ভাগ এই অভিবাসী শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল হলেও শ্রমিক নির্যাতন এবং নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বাংলাদেশ, নেপাল, ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা শ্রমিকদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানোসহ বাসস্থানের মান নিয়েও অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে।

 

পাম ওয়েল, আইফোনের যন্ত্রাংশ উৎপাদনসহ বিভিন্ন কৃষি ও প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে দেশটিতে কয়েক দশক ধরেই অভিবাসী শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে নির্যাতনের অভিযোগও।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর ) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দেশটিতে শ্রমিক নির্যাতন ও কর্মপরিবেশ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভারটাইম, সময়মতো বেতন ও পর্যাপ্ত ছুটি না দেয়াসহ অস্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশের মতো বিষয়গুলো সরকারের অজানা নয়। তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দেশটির শ্রম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মালয়েশিয়ায় কর্মক্ষেত্রে অভিবাসী শ্রমিকের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকার ও কোম্পানিগুলোকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, শ্রমিক নির্যাতনে মালয়েশিয়া নজির হয়ে উঠছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটির অর্থনীতি। এই ব্যবস্থায় যেকোন পরিবর্তন আনার এখনই সময়।

চলতি মাসের শুরুতে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান জানান, জোর করে বাধ্যতামূলক শ্রমের কারণে দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব পড়ছে। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ইবাংলা / টিপি/ ২১ডিসেম্বর, ২০২১

অভিবাসী শ্রমিকনির্যাতনমালয়েশিয়া
Comments (0)
Add Comment