সুরা মুলক— কোরআনে কারিমের তাৎপর্যপূর্ণ এক সুরা। সুরা মুলক এর তেলাওয়াতকারীর জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে এবং তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
কেবল সাধারণ সুপারিশ নয়; বরং এ সুরা তার আমলকারীর পক্ষে ওকালতি করবে। আমলকারীকে জান্নাতে না নেওয়া পর্যন্ত তার পক্ষে লড়তে থাকবে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা রয়েছে, যা তার আমলকারীকে জান্নাতে প্রবেশ করানো পর্যন্ত তার পক্ষে ওকালতি করেছে, তার পক্ষে লড়েছে। তা হলো- সুরা তাবারাকা (সুরা মুলক)। (আল-মুজামুল আওসাত লিত-তবারানি, হাদিস : ৩৬৫৪; আল-মুজামুস সগির, তাবারানি, হাদিস : ৪৯০; আল-আহাদিসুল মুখতারাহ, যিয়া আলমাকদিসি, হাদিস : ১৭৩৮; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদিস : ১১৪৩০)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কিতাবে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা রয়েছে (অর্থাৎ সুরা মুলক), যা এক ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করে তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৩৮৩৮; আল-মুন্তাখাব মিন মুসনাদি আবদ ইবনু হুমাইদ, হাদিস : ১৪৪৫)। সুতরাং যে ব্যক্তি এ সুরা তিলাওয়াত করবে, এর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে আশা করা যায়— সে এর সুপারিশ লাভ করবে এবং ক্ষমা ও জান্নাত লাভে ধন্য হবে।
নবীজি (সা.) অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে সুরা মুলক তিলাওয়াত করতেন। এমনকি রাতে সুরা মুলক এবং সুরা সাজদাহ তিলাওয়াত না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না। জাবের (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) সুরা সাজদাহ ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪০৪; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৩৫৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৪৬৫৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৯৮১৬; আল-আদাবুল মুফরাদ, বুখারি, হাদিস : ১২০৭; সুনানে দারিমি, হাদিস : ১০৪০)। আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রতি রাতে বা প্রতি দিন সুরা মুলক তেলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন।
ইবাংলা/ টিপি /২২ ডিসেম্বর, ২০২১