নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ইঙ্গিত করে তৈমূর বলেন, ‘নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করবে, আর চেয়ে চেয়ে দেখব তা হবে না। জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করব।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে এবারের নির্বাচনে কাউকে কোনোভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। বলেছেন, জীবন দিয়ে হলেও সমর্থকদের নিয়ে ভোটকেন্দ্র তখল ঠেকাবেন তিনি।
নগরীর মাসদাইরে নিজ বাসভবনে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তৈমূর।
বিএনপি থেকে আগেই জানানো হয়, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছেন না। তবে স্বতন্ত্র ব্যানারে ঠিকই এই নির্বাচনে বিএনপির উপস্থিতি রয়েছে।
মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে লড়ছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমূর। তাকে সমর্থন দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বেশির ভাগ নেতা-কর্মীই।
শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তৈমূর বলেন, ‘আমি কখনও কর্মী ফেলে দৌড় দিই না। আর কর্মীরা আমাকে ছেড়েও দৌড় দেয় না। কর্মীরা বুঝে তৈমূর আলম দৌড় দেবে না। আমি রাজনীতিতে যোগদান করার আগে শ্রমিকদের সঙ্গে থাকতাম। কারণ তারা খেটে খাওয়া মানুষ। এই নির্বাচনে আপনারা শ্রমিকরা সবাই আমার পাশে থাকবেন।’
এরপর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোরেশনের সেই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ শামীম ওসমান বা সেলিনা হায়াৎ আইভী কাউকে সমর্থন না দিলেও বিএনপির সমর্থনে ভোটে ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। তবে ভোটের আগের দিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
এবার মেয়র পদপ্রার্থী হওয়ার কারণ জানিয়ে তৈমূর বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রয়োজনে, তাদের সমস্যা সমাধানে এবং তাদের জন্য আমাকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে৷ প্রতিটা এলাকার জনগণ যেভাবে এগিয়ে আসছে, আমার বিশ্বাস আপনারা আমাকে জয়ী করবেন।’
প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী আইভীকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘এখন বর্ষা চলছে না, তাই নৌকাও চলে না। এখন শুষ্ক মৌসুম। শীতের মৌসুম, পূজা-পার্বণের মৌসুম, পিঠা উৎসবসহ বিভিন্ন উৎসবের দিন। মানুষের শান্তিতে বসবাস করার সময়।
‘দুর্গন্ধযুক্ত, জলাবদ্ধতা যুক্ত, যানজটের শহর হিসেবে মানুষ থাকতে চায় না। মানুষ চায়, জলাবদ্ধতা মুক্ত, যানজট মুক্ত এবং মশা-মাছি মুক্ত নিরাপদভাবে বসবাস করতে। তাদের চাওয়া পূরণে আমি প্রার্থী হয়েছি।’
ইবাংলা /টিআর/২৩ ডিসেম্বর