ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৩৬ জনেরও বেশি নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৭ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অপরদিকে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খান।
তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) এই অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ জনে। এ ছাড়া ২০০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা যায়, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় আসলে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ভোররাত থেকে এ পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ৯ টা) অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজনের ৫০ ভাগ পুড়েছে। ৫০ থেকে ৮০ ভাগ দগ্ধ ২০ জনের মতো রোগী রয়েছেন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
ইবাংলা / নাঈম/ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১