মালদ্বীপ থেকে সহজে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করবে সরকার এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসীদের অসুবিধা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) মালদ্বীপ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়াল) এ কথা জানান। মালদ্বীপ বসবাসরত প্রবাসীরা অর্থ ডলারে রূপান্তর করে দেশে পাঠানোর বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম যে আপনাদের ডলার কিনে তারপর টাকা পাঠাতে হয়। এটা কেন পাঠাতে হয় আমি জানিনা, আমি দেশে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করবো যে, আপনাদের অর্থ আপনারা সরাসরি পাঠাতে পারেন কিনা।
মালদ্বীপের টাকার সঙ্গে আমাদের টাকার বিনিময় কিভাবে সরাসরি করা যায়, সে বিষয়টা আমরা আলোচনা করতে পারবো, সেটা খুব একটা সমস্যা হবে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের অর্থ পাঠাতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থাটা নেব এবং আমরা দেখব এবং মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাটা আমরা করে দেবো। ’
তিনি বলেন, সব জায়গা থেকে টাকা পাঠানোর সমস্যা যাতে না থাকে আমাদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে আমি বলে দেবো। বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে এখন অনেক লোকসান হয় সেটা যাতে না হয়। মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসীদের অসুবিধাগুলো দূর করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী এবং আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারাও আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং আপনাদের বিষয়গুলো সব কিছু জেনেছে এবং আমাকেও তারা জানিয়েছে আমি দেশে ফিরে যাওয়ার পর কি কি করা যেতে পারে তা আমরা করবো।
’ সরকার প্রধান বলেন, ‘প্রবাসীদের বিশেষ সুবিধার জন্য আমি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তৈরি করেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের দেশে যারা প্রবাসে যান সবাই কিন্তু সঠিক পথে যান না, কোনো দালাল ধরে বাড়িঘর বিক্রি করে সবগুলো বন্ধক রেখে তারপরে যান।
এরপর যে আশা নিয়ে যান, যে টাকা বেতন পাবে আশা করেন, সেটা তারা পান না। ফলে অনেকেই খুব মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়, অনেককে কষ্ট ভোগ করতে হয়। যাতে কোনো ঘরবাড়ি বিক্রি করতে না হয়, যাতে কোনো জমি বন্ধক থাকতে না হয় এবং কোনো জামানতসহ যাতে ব্যাংক ঋণ পাওয়া যায়, সে বিবেচনা করেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের এখানে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল করা সম্ভব হবে কি না জানি না। মালদ্বীপ সরকার এখানে আমাদের জমি দেবে কি না তাও জানি না। তবে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা, শিক্ষায় আরও বেশি বৃত্তি ও সুবিধা আমরা দেবো। ’
ইবাংলা /টিআর/২৫ ডিসেম্বর