তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চোরাগলির পথ খুঁজছে। ‘তারা যে জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়না । মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না। এ জন্য সব সময় তাদের ভোট থেকে পলায়নপর মনোবৃত্তি। বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ নেয়নি, ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকেও পালাতে চেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে অনেক নাটকীয়তার পর আবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের রায়ের ওপর বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে জনগণের রায় ব্যতিরেকে অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় যায়নি। আর বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে চোরাপথে ক্ষমতায় যাওয়া।
বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের ওপর ‘জনগণের কোনো আস্থা নেই’ বিধায় সংলাপ নিয়ে তাঁরা এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন বলে দাবি করেন হাছান মাহমুদ। নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতারা অবান্তর কথা বলছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারবে না, সেটি তারা জানে। তাই এখন বিএনপি চোরাগলির পথ খুঁজছে, কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। কিন্তু চোরাগলির পথ দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন বাংলাদেশে শেষ হয়ে গেছে।’
সম্প্রতি কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনের সময় দেশ পরিচালনার জন্য জাতীয় সরকার গঠনের যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা নাকচ করে দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজনীতিতে পরিত্যক্তদের পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ ধরনের সরকার গঠনের কোনো প্রয়োজন বা সুযোগ, কোনোটাই নেই।
বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা, যাঁরা জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তাঁরা সবাই পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদ। তাঁরা একসময় অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন, কিন্তু এখন রাজনীতিতে তাঁরা পরিত্যক্ত। রাজনীতিতে পরিত্যক্তরা তাঁদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এ ধরনের প্রস্তাব দিচ্ছেন। সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে। এর বাইরে কোনো সুযোগ নেই।
ইবাংলা /টিআর /২৮ ডিসেম্বর