বগুড়ায় ভুয়া সার্টিফিকেটের মাধমে চিকিৎসাসেবা দেয়ার অভিযোগে দুই ভুয়া ডাক্তার বাবা ও ছেলেকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের বিএমডিসি কোন স্বীকৃত সনদ নেই।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওই এলাকা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে তাদের জরিমানা করা হয়। তারা হলেন- আবদুল কাদের ও তার ছেলে শহীদুল ইসলাম। বাবা-ছেলে মিলে শহরের নিশিন্দারা কারবালা এলাকায় আলম মেডিকেল স্টোরে ডাক্তারির ভুয়া সার্টিফিকেট ও নাগরিক সনদ ব্যবহার করে সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আশরাফুর রহমান জানান, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স করে ডাক্তার সেজে চিকিৎসা দিতেন তারা। এছাড়া তাদের ডাক্তারি সার্টিফিকেট ভুয়া এবং রোগীদেরকে সার্জারি ও অপারেশন করে প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ দিতেন। এমনকি শিশুদের এন্টিবায়োটিক খাওয়াতেন তারা। ভুয়া নাগরিক সনদসহ এক জায়গায় একেক নাম ব্যবহার করে তারা জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করতেন।
তিনি আরও জানান, অভিযানে অনেক অনুমোদনহীন ও স্যাম্পল ঔষধ জব্দ করাসহ প্রেসক্রিপশন ছাড়া অযৌক্তিক ঔষধ দেয়াসহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। তাই ঔষধ আইন ধারা লঙ্ঘন করার অপরাধে তাদেরকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আশরাফুর রহমান ও পাপিয়া সুলতানা। এ সময় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলাম মোল্লাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা /টিআর /২৯ ডিসেম্বর