আজকের দিন থেকেই, আমাদের অঙ্গীকার হোক, সোনার বাংলার সম্ভাবনাময় মানব সম্পদকে রক্ষা করি। দলীয় ভেদাভেদ ভূলে যাই, দেশ বাঁচাই। বিপথগামী তরুনদের রক্ষাকরি।
আমাদের সকলেরই মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশকে বাঁচালেই আমরা বাঁচবো। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। আমাদের মতবিরোধ থাকতেই পারে তথাপিও সবার আগে দেশ। অবশ্যই আমরা সরকার বিরোধি সমালোচনা করবো, তবে তা যেনো হয় গঠনমূলক। ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকি।
আমাদের মানব সম্পদ, প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য, খনিজ সম্পদ, সাগর সম্পদ নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। সোনার বাংলায় সোনা ফলে এ জন্যই কবি বলেছেন, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না তো তুমি। সকল দেশের রানী সেজে আমার জন্মভূমি।
আমাদের স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশ অসম্প্রদায়িক। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, ধর্মভীরু। এই সোনার বাংলাকে একটি শ্রেনী অশান্ত করে তুলছে। এ উচ্ছৃঙ্খল শ্রেনীটি, আদৌ কোনো দলের নয়। বর্তমান ও বিগত সরকার গুলোর সক্রিয় সদস্য। সুবিধাবাদি চক্রটি বর্তমান ও বিগত সরকার গুলোর আমলে, নানা ধরনের সুবিধা নিয়ে নিজেদের ইউরোপ,আমেরিকা, মালেশিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে, সুইস ব্যাংকে জমানো টাকা খরচ করছে।
বিনোদন করছেন। উল্লাস করছেন। আরাম, আয়েশে দিন যাপন করছেন। রঙ্গিন জীবন উপভোগ করে, সোশাল মিয়িাএবং বিভিন্ন টেলিভিশন সহ নানা গণযোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে জ্ঞান দান করছেন। দেশের সাধারণ মানুষকে অশান্ত করে তোলার জন্য উস্কানী মূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ জীবন ও জীবিকার তাগিদে নিকট আত্মীয়কে দূরে রেখে, বছরের পর বছর প্রবাসে জীবন যাপন করছেন। অনেক কষ্টকরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করছেন। আমাদের রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। দেশকে সম্মানিত প্রবাসি ভাইয়েরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, প্রবাসিদের একটি চক্র দেশের সীমানা পেরিয়ে দেশ বিরুদ্ধি নানা কর্মকান্ড লিপ্ত হচ্ছেন।এরা জঙ্গী গৌষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়ে, দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষকে নানা অজুহাতে উস্কানী দিয়ে অশান্ত করে তুলছে। তাঁদের কথা বার্তায় মনে হবে, এদের চেয়ে খাঁটি দেশ প্রেমিক আর নেই! দেশের জন্য ভালোবাসা তাঁদের যেনো, উতলে উঠেছে। আসলে এরা কোনো দলেরই নয়।এরা সন্ত্রাসী একটি গৌষ্ঠী। দেশকে অশান্ত করে তোলাই, এদের কাজ।
আগেই বলেছি, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা কোনো দলের নয়। তবে চাঁদাবাজরা দলীয় সাইনবোর্ড বদলায়। এরা সব সময় সরকারি দলের ব্যানারে থাকে। প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী আর দলের কিছু শ্রেনীর হাইব্রিড নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে এরা চাঁদাবাজি করে। দেশের এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে এদের সদস্য নেই।
তবে পরিবহন আর চিকিৎসা সেবায় এদের সংখ্যা বেশি। এদের হাতে সাধারণ নাগরিক জিম্মি যা সরকারের নজরে থাকলেও এদের দমিয়ে রাখতে সরকার অসহায় কেননা প্রশাসনের একটা শ্রেনী রয়েছে চাঁদাবাজদের আশ্রয়দাতা। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন মাদকের বিস্তার লাভ করেছে। হাত বাড়ালেই মাদক মিলে যাবে। মাদক প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে দিচ্ছে পরিবহন সেক্টরের নিয়োজিত মানুষ আর প্রশাসনের কতিপয় অসাধু সদস্য।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, দেশের প্রতিটি থানার শুধুমাত্র সি এন জি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন গড়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে বারো লাখ টাকা। এছাড়া রয়েছে বিমান রেল আর নৌ-পথ। বাস ট্রাক, স্ট্যান্ড থেকে চাঁদার টাকা উড়ছে। অবৈধ ভাবে চাঁদার আদায়ের লুটে নেয়া হাজার কোাটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয় না একটি পয়সাও।
মাফিয়া চক্র, ইয়াবা আর ফেনসিডিলের হাজার কোটি টাকা প্রতিনিয়ত নিয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে। মরণ নেশা ইয়াবা আর ফেনসিডিল যুব সমাজের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে। ইয়াবার থাবা থেকে এখনই যুবকÑযুবতিকে রক্ষা করা না গেলে আগামি দিনগুলোতে মানব সম্পদ বলতে আর কিছুই থাকবে না। আগামি মেরুদন্ডহীন জাতি হিসেবে পরিচিতি পাবে।
ইয়াবা, ফেনসিডিল নাকি দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। চোরা পথে আসছে এর কাঁচা মাল। এমপি টামিনা ড্রাগ, মেথামফেটামিন এবং ক্যাফিনের মিশ্রণে মরণ নেশা ইয়াবা তৈরি হয়। ফেনসিডিল, কোডিন পাউডারই এর মূল উপাদান যা অনেক দামি। মাত্র পঞ্চাশ গ্রাম পাউডার দিয়ে প্রস্তুত করা যায়, কমপক্ষে পাঁচশত বোতল ফেনসিডিল।
খায়রি রঙের এই পাউডার হেরোইয়েন চেয়ে দামি। কোডিন পাউডার চিনির ঘনসিরা, পিরিট ও কর্পূরের সাথে মিশিয়ে ফেনসিডিল তৈর করছে। কোডিন তৈরি হয় অফিস থেকে ইয়াবা ফেনসিডিল এমন মরন নেশা যা তিলে তিলে যুব সমাজকে শেষ করে দিচ্ছে। পাশ্ববর্তী দেশ সহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই রয়েছে বৈধ পানশালা। সে সব দেশের পানশালা থেকে রাষ্ট্রের কোষাগারে আসছে অর্থ আর আমাদের অর্থ পাচার হচ্ছে বিদেশে।
নাসিম আনোয়ার