আইকনিক আমেরিকান কমেডিয়ান ও অভিনেত্রী বেটি হোয়াইট শততম জন্মবার্ষিকীর ১৭ দিন আগে নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বেটির এজেন্ট ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু জেফ উইটজাফ বলেন, যদিও বেটির বয়স প্রায় ১০০ বছর। আমি ভেবেছিলাম ও চিরকাল বেঁচে থাকবে।
আরও বলেন, আমি তার শূন্যতা ভয়ানকভাবে অনুভব করব। তার ভালোবাসার পোষা প্রাণীগুলোও অনুভব করবে। বেটি সব সময় প্রিয় স্বামী অ্যালেন লুডেনের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, তারা আবার একসঙ্গে থাকবেন।
শুক্রবার সকালে নিজ বাসভবনে মারা যান বেটি। বেঁচে থাকলে আগামী ১৭ জানুয়ারি নিজের শততম জন্মদিন পালন করতেন তিনি। তবে অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি।
কয়েক দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘দ্য গোল্ডেন গার্লস’ ও ‘দ্য ম্যারি টেইলর মুর শো’র স্মরণীয় চরিত্রের জন্য তিনি সুপরিচিত। বেটির ক্যারিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের অন্য নারী কমেডিয়ান ও অভিনেতাদের পথ দেখিয়েছে।
তারুণ্য শাসিত বিনোদন শিল্পে যখন ৪০ বছরকে অভিনেত্রী ক্যারিয়ারের জন্য শেষ পর্যায় ধরা হতো, তখন বেটি ১৯৬০ এর দশকে তারকায় পরিণত হন। ৮০ ও ৯০ দশকে পপ কালচারের আইকন হয়ে উঠেন।
৯২ বছর বয়সে ২০১৪ সালে ‘হট ইন ক্লেভল্যান্ড’ টিভি সিটকমে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেন বেটি হোয়াইট।
এ অভিনেতা বলেছিলেন, সুস্বাস্থ্য, সৌভাগ্য ও কাজের প্রতি ভালোবাসা তাকে দীর্ঘ ক্যারিয়ার দিয়েছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর টুইটারে সর্বশেষ দেখা যায় বেটিকে। সেখানে আসন্ন জন্মদিন উপলক্ষে পিপল ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকার শেয়ার করেন তিনি।
তিনি সুস্বাস্থ্যের জন্য নিজেকে ভাগ্যবতী বলেন। আর সংবাদমাধ্যমটি বেটিকে ‘জন্মগত আশাবাদী’ বলে উল্লেখ করে। অভিনেত্রী নিজেও বলেন, তিনি সব সময় ইতিবাচক। এ গুণ তিনি মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন।
১৯২২ সালের ১৭ জানুয়ারি ইলিনয়ের ওক পার্কে জন্ম বেটি ম্যারিয়ন হোয়াইটের। যুক্তরাষ্ট্রের মহামন্দার সময় তার পরিবার লস অ্যাঞ্জেলসে চলে আসে, তিনি সেখানে হাইস্কুলে ভর্তি হন।
১৯৩০ এর দশকের শেষ দিকে রেডিও’র মাধ্যমে বিনোদন জগতে পা রাখেন বেটি হোয়াইট। ১৯৩৯ সালে টেলিভিশনে আসেন প্রথমবার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে সেনাবাহিনীতে ভ্যালেন্টারি সার্ভিসে কাজ করেন। ১৯৪৯ সালে দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার লাইভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি টেলিভিশনে নিয়মিত হন।
ইবাংলা/ এইচ/ ০১ জানুয়ারি, ২০২২