রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টার থেকে নুসরাত জাহান (২৮) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে শনিবার (১২ জুন) পুলিশকে জানায়। তথ্য পাওয়ার পর বাসার দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশিষ সরকার মৃত নারী নুসরাতের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নুসরাত তার স্বামী মামুন মিল্লাতের সঙ্গে সংসদ সচিবালয় বি-২ নম্বর কোয়ার্টারে সাবলেট থাকতেন।
শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মামুন মিল্লাতকে বাসায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এরপর তিনি উধাও হয়ে যান। দুপুরে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে নুসরাতের সাড়া পাননি। এতে তাদের সন্দেহ হলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।
পরে আগারগাঁও থানার পুলিশ এসে বাসার দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় নুসরাতকে ঝুলতে দেখেন। মরদেহ নামিয়ে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে নিহত নুসরাতের স্বামী মামুন মিল্লাত পলাতক রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে বি-২ নম্বর কোয়ার্টারে সাবলেটে নুসরাতকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশিষ সরকার বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারী নুসরাত বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মামুন মিল্লাত পলাতক।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সী বলেন, মৃত নারীর কাগজপত্র যাচাই করে তার পরিচয় মিলেছে। খাগড়াছড়িতে তার বাবাসহ স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা ঢাকায় এলে বিস্তারিত তথ্য মিলবে। এরপর ওই ঘটনায় মামলা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, পলাতক মামুন মিল্লাত পুলিশের কেউ নন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি প্রতারক। স্বামী মামুন মিল্লাতের প্ররোচনায় ওই নারী আত্মহত্যা করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। <<
ই বাংলা/ ইস্রাফিল/ ১৩ জুন, ২০২১