বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ৬৮ বছর বয়সে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। দিনটি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি বীর দামপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় কারাগারে শহিদ জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ পুত্র।
তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহপ্রচার সম্পাদক ছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ছিলেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র।
১৯৯৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ-০১ সদর আসন থেকে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তখন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালে পুনরায় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালের ৯ জুলাই তাকে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। এক মাস এক সপ্তাহ দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকার পর ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।
ইবাংলা /টিপি/ ০৩ জানুয়ারি, ২০২২