সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে অধিদপ্তরের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই আশঙ্কার কথা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। এ জন্য সারাদেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা জোরদারের জন্য কাজ করছি।
খুরশীদ আলম বলেন, শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। যাদের কোমরবিডিটি আছে, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে আছেন তারা বুস্টার নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা হবে না। যাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে টিকা কার্ড নিয়ে টিকাকেন্দ্রে যেতে হবে।
তিনি বলেন, যে কোমরবিডিটিগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যেমন: ক্যানসার, অ্যান্টিক্যানসার ড্রাগ খেয়েছেন, রেডিয়েশন পেয়েছেন, কেমোথেরাপি পেয়েছেন, ইমিউন দুর্বল তাদেরকে আমরা প্রাধান্য দিতে চাচ্ছি।
স্বাস্থ্যের ডিজি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে, গত দুই বছরের চিন্তা যদি আমরা করে থাকি। এ কারণে, আমরা সারাদেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা জোরদারের জন্য কাজ করছি।
বর্তমানে ৪০টি হাসপাতালে অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশে গত ২৮ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সম্মুখ সারির ব্যক্তিদের এই ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪০ জন।
ইবাংলা /এইচ/ ০৩ জানুয়ারি, ২০২