কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার কাঁঠালিয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় একই সঙ্গে আপন তিন বোনসহ একই পরিবারের চারজনই প্রাণ হারায়। দুর্ঘটনায় আরও ৭ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে থানা থেকে মেয়েদের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় বুক চাপড়ে চিৎকার করে কান্না করছেন বাবা শেখ ফরিদ। নিহত তিন বোনের বাবা বলছেন, ‘আমার কলিজার টুকরারা কইরে, আমার জান পাখিরা কইরে, আমার হিরা মানিক কইরে?’
নিহতরা হলেন, জেলার তিতাস উপজেলার রায়পুর গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার স্ত্রী জুলেখা আক্তার (৫৫), তার মেয়ের ঘরের নাতনি আয়েশা আক্তার (১২), মরিয়ম আক্তার (৭) ও তামান্না আক্তার (১০)। নিহতরা সবাই ঢাকার ডেমরা থানার সুকশি এলাকায় বসবাস করেন। মামার বাড়ি তিতাস উপজেলার মোহনপুর গ্রামে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
বাবা শেখ ফরিদ বলেন, সোমবার (৩ জানুয়ারি) আমি চিকিৎসক দেখাতে ঢাকা মেডিকেল গেছিলাম তাদের মা বাড়িতেই ছিল। আমার তিন মেয়ে ও তাদের নানি জুলেখা মামার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস এলাকায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার আমার তিন মেয়ে ও তাদের নানি মারা যায়।
চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু আবদুল্লাহ জানান, ‘নদীর ওই অংশে প্রচুর কচুরিপানা ও মাছের ঘের ছিল। সেখানে পৌঁছালে ট্রলারের নিচে থাকা পাখা খুলে যায়। এ সময় ট্রলারে পানি উঠে তলিয়ে যায়। মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, এটি নিছকই দুর্ঘটনা। মৃতদের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি।
ইবাংলা / টিআর /৪ জানুয়ারী