মনোহরদীতে একটি দরিদ্র পরিবারের ৫ জনের ৩ জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। অসুস্থতার কারনে লেখাপড়া বন্ধ ২জনের। একই কারনে স্বামীর বাড়ী ফেরত ১জন। অর্থাভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের। চিকিৎসা? সে যেনো এক স্বপ্ন বিলাস। সব মিলিয়ে পরিবারটির দিন কাটছে এক মানবেতর পরিবেশের ভেতর দিয়ে।
মনোহরদী উপজেলার পাড়াতলা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের পরিবারের ৫ সদস্য। তাদের মধ্যে ৩ জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। ফলে পরিবারটির দুর্দশা সীমাহীন। এ পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম সদস্য কালাম(২০)।এক দুর্ঘটনায় দু’ পা হারিয়ে চির পঙ্গুত্ব লাভের পর সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী জীবন কাটছে এখন তার।
তার বড়ো ভাই কবির (২২) বাতজ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবন্ধী জীবন কাটাচ্ছেন ঘরে। তাদের সবার বড়ো বোন মাহফুজা (২৪) এর বিবাহিত জীবন টেকেনি কোমর ভাঙ্গা বলে। অজ্ঞাত জরাক্রান্ত হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধীতা তার। স্বাভাবিক জীবন যাপনে সক্ষম নন তাদের কেউই। বাড়ীঘর ব্যতিরেকে সহায় সম্পদের কিছুই নেই পরিবারটির। নেই কোন জায়গা জমিও।
পরিবারটির ২ সদস্য প্রতিবন্ধী ভাতা পান। ভাতাটুকু আর অনেকের সাহায্য সহযোগিতাকে আশ্রয় করে পরিবারটির সংসার চলে খুঁড়ে খুঁড়ে। অকূলে ভাসা পরিস্থিতি তাদের। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা যেনো এক স্বপ্ন বিলাস।
পরিবারটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আতাউর স্কুল ছাত্র। অভাব অনটনের মুখে তার পড়াশোনাও বন্ধের পথে। পরিবার প্রধান তাদের মা হোসনে আরা (৪৫) জানান, তিনি নিজেও কোমর ব্যথার রোগী। কাজকর্ম করতে পারেন না খুব একটা। সব মিলিয়ে তাদের দিন কাটছে এখন এক মানবেতর পরিবেশের ভেতর দিয়ে।
ইবাংলা/ ই/ ৬ জানুয়ারি, ২০২২