না.গঞ্জে ট্রলারডুবি: ৪টি মরদেহ ভেসে উঠেছে

জেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ ঘাটে ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনার চারদিন পর চারজনের মরদেহ নদীতে ভেসে উঠেছে। এরইমধ্যে এক পরিবারের চারজন নিখোঁজ হওয়া জেসমিন আক্তার নামে এক নারী ও তার মেয়ের মরদেহ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক আব্দুল্লা আল আরেফিন বলেন, রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে ধর্মগঞ্জ ঘাটের অদূরে ৪টি মরদেহ ভেসে উঠে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে আরও ছয়জন। তিনি জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, যেখানে ট্রলার ডুবেছে, সেখান থেকে কিছুটা দূরে চারটি মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে আমাদের খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। আমরা গিয়ে উদ্ধার করি। মরদেহ শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এদিকে, ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এরই মধ্যে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান, চালক জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া ও সুকানি জসিম মোল্লাকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছেন বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, জব্দ করা হয়েছে লঞ্চটিও।

ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে ১০ জন নিখোঁজ হন। অন্তত ৩০ যাত্রী বহনকারী ট্রলারটি এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় নদীতে। বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ওই ১০ জনকে পাওয়া যায়নি।সেদিন থেকেই তাদের খোঁজ পেতে ধলেশ্বরীর তীরে অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।

ইবাংলা / টিআর / ৯ জানুয়ারি, ২০২২

ধলেশ্বরীনারায়ণগঞ্জেফতুল্লা
Comments (0)
Add Comment