সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের করা মামলায় তাকেই গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাবুলকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম বলেন, মামলার আসামিদের জবানবন্দি ও তদন্তে স্ত্রী খুনে বাবুল জড়িত ছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাই বাদী বাবুল তার করা মামলায় আসামি হয়েছেন। তাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, আদালত বাবুলের করা মামলাটি তদন্তের জন্য গত বছরের ৩ নভেম্বর পিবিআইকে নির্দেশ দেন। একই ঘটনায় বাবুলের শ্বশুরের করা মামলাটিও তদন্ত করছে পিবিআই। এ মামলায় বাবুলকে ১২ মে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম। এ ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
তদন্তে ১৬১ ধারায় ৫১ জনের বেশি সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়ে পিবিআই গত বছরের ১২ মে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৪ অক্টোবর আদালতে নারাজি আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী।
সেখানে একজনও বাবুলের সম্পৃক্ততার কথা বলেননি বলে আদালতে দাবি করেন বাদীর আইনজীবী।গত ৩ নভেম্বর আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পিবিআইকে ফের তদন্তের নির্দেশ দেন।
শ্বশুরের করা মামলায় বাবুল আক্তার এ মুহূর্তে কারাভোগ করছেন। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে। সব শেষ এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা নামের এক আসামি বাবুলকে তার স্ত্রীকে খুনের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করে ২৩ অক্টোবর আদালতে জবানবন্দি দেন।
ইবাংলা / টিআর / ৯ জানুয়ারি