পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে লবিস্ট নিয়োগসহ আইনের মধ্যে থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স-বিলিয়া আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনার শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব দেশের গণতন্ত্রেই কিছুটা অপরিপক্কতা আছে। বাংলাদেশও পরিপক্ক হওয়ার চেষ্টা করছে। সন্ত্রাস দমনে র্যাব কাজ করছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ কথা স্বীকার করেছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যদিও র্যাবের ওপর একটা স্যাংকশন (নিষেধাজ্ঞা) এসেছে, কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্ট (মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর) বলছে যে, র্যাব গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমিয়েছে। তারা স্বীকার করেছে।’
‘আমাদের কোথাও যদি কোনো গ্যাপস (ঘাটতি) থাকে, দুর্বলতা থাকে, (তাহলে) অবশ্যই আমরা সেদিকে নজর দেব, ব্যবস্থা নেব’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নতুন করে লবিস্ট নিয়োগ করবে কি না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের দেশে আমরা তদবির বলি।
আর, ওই দেশে বলে ইন্সটিটিউশন ওরা তদবির করে। যেখানে তদবির দরকার, সেখানে তদবির আমরা চালাব। দেশেও তো কাজ করতে গেলে অনেক সময় তদবির লাগে। তাই আমরা দেখব যে, আইনি ব্যবস্থার মধ্যে থেকে কীভাবে কী করা যায়।’
বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
ইবাংলা / টিআর / ১৪ জানুয়ারি