শ্বাসকষ্টে হলে করণীয় কি?

ইবাংলা ডেস্ক

শীতকালে অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভোগেন। শিশুদের অনেকে এডিনয়েডের সমস্যার কারণে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারে না। আবার হাঁপানি রোগীদের তো এই ঋতুতে যন্ত্রণার শেষ নেই। এসব রোগীদের ক্ষেত্রে আকস্মিক টান উঠাটা স্বাভাবিক।

বিশেষ করে হঠাৎ ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়, ধুলাবালি লাগলে, নোংড়া পরিবেশে গেলে, ঘর ঝাড়-মোছ করলে বা ফুলের পরাগ রেণুর সংস্পর্শে এলে হাঁপানি-সাইনাসের রোগীদের শ্বাস টান ওঠে। ভাইরাস সংক্রমণ, সর্দিকাশিও এ সমস্যার জন্য দায়ী। এমতাবস্থায় অনেকে ঘাবড়ে যান। এ সময় করণীয় সম্পর্কে ধারণা থাকলে রোগী সহজেই এই ধকল কাটিয়ে উঠতে পারে।

এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশান সেন্টারের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

* শ্বাসটান উঠলে রোগীকে সোজা হয়ে বসতে বলুন ও আশ্বস্ত করুন যে কিছুই হয়নি, আতঙ্কের কিছু নেই।

* উপশমকারী সালবিউটামল বা সালবিউটামল ও ইপরাট্রোপিয়াম যুক্ত ইনহেলার স্পেসারের সাহায্যে ধীরে ধীরে পাঁচটি চাপ নিন। স্পেসার না থাকলে কাগজের ঠোঙা ব্যবহার করতে পারেন।

* স্পেসারের মধ্যে প্রতিবার এক চাপ দিয়ে তা থেকে পাঁচবার শ্বাস নিতে হবে। এভাবে পাঁচবার চাপ দিন। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে খেয়াল করুন, শ্বাস বড় করে ওষুধ ঠিকমতো টেনে নেওয়া হচ্ছে কিনা, খেয়ে ফেললে কাজ হবে না।

* পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। বিশ্রাম নিন। তারপরও শ্বাসকষ্ট না কমলে আবার পাঁচ চাপ নিন। এভাবে মোট পাঁচবার (মোট ২৫ চাপ) নেওয়া যেতে পারে।

* এরপরও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির টান না কমলে রোগীকে কাছাকাছি হাসপাতালে নিতে হবে বা নেবুলাইজার যন্ত্রের সাহায্য লাগবে। হাসপাতালে পৌঁছার আগ পর্যন্ত পাঁচ চাপ করে ইনহেলার নিতে থাকবেন।

* শুরুতেই জিহবা, নখ বা আঙুল নীল হয়ে এলে, শ্বাসকষ্টের জন্য কথা না বলতে পারলে বা চেতনা হারিয়ে যেতে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে নেবুলাইজার ছাড়াও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।

ইবাংলা /  টিআর / ১৪ জানুয়ারি

ঠাণ্ডা আবহাওয়াশীতকালে অনেকেইশ্বাসকষ্ট
Comments (0)
Add Comment