নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর কারখানার ভেতর থেকে এক এক করে মরদেহ বের করে আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০টি পোড়া মরদেহ বের করা হয়েছে এবং মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মর্গে।
এর আগে তিনজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া যায়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৩। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন। লাশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ সময় কারখানার বাইরে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা হাসেম ফুড কারখানার ভেতর থেকে মরদেহগুলো একের পর এক বের করে আনেন। এর পর গাড়ি দিয়ে লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীস বর্ধন জানান, এখন পর্যন্ত কারখানার ভেতর থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর মেডিকেলে চার জন মারা গেছেন। আজকে উদ্ধার করা লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভেতরে মোট কতজনের মরদেহ রয়েছে এ ব্যাপারে দায়িত্বরত কেউ কোনো কথা বলেননি। রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ৪৮টি মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের চারটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভেতরে কতগুলো মরদেহ রয়েছে সে ব্যাপারে জানাবে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার পর রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগে।
ই-বাংলা/ আইএফ/ ৯ জুলাই, ২০২১