টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই জেলায় প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমের মাধ্যমে এ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিত লক্ষ করা গেছে। আবার কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিত তেমন দেখা যায়নি।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মির্জাপুর এসকে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল হক জহির অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন লাঙ্গল মার্কার এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বিকার করে নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বলেছেন নির্বাচন শুষ্টু হচ্ছে।
এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনী এলাকায় একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৮১০জন পুলিশ সদস্য ও ১০টি র্যাবের মোবাইল টিম, প্রায় সাড়ে ১৮শ’ আনসার সদস্যসহ পর্যাপ্ত সংখ্যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, এ উপনির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা), জাতীয় পার্টির জহিরুল হক জহির (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির গোলাম নওজব, চৌধুরী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরগাড়ি, কার)।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র আরও জানায়, এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন। ৫ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১২১টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৫৭টি, সাধারণ কেন্দ্র ৬৪টি। আর নির্বাচনে ভোট কক্ষ রয়েছে ৭৫৬টি। নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার মিলিয়ে ১৯ থেকে ১৮ জন করে সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। একই সাথে র্যাব এবং ডিবির টিমও কাজ করছে। অপরদিকে প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে রয়েছে।
এ আসনের নির্বাচনের সহকারী রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, শাস্তিপূর্ণভাবে ব্যাপক কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আশা করছি নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
ইবাংলা /টিআর /১৬ জানুয়ারি