নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির ১৫জন ছাত্রদল নেতা পদত্যাগ করেছে। আহ্বায়ক কমিটির ২১ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ পদত্যাগ করায় চলছে আলোচনা সমালোচনা।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় টাকার বিনিময়ে কমিটিতে রাখা ও সিনিয়র-জুনিয়র না মেনে কমিটি করার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ জন নেতা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির পদত্যাগকারী যুগ্ম-আহ্বায়ক মো.মিজানুর রহমান হারুন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি ২১ সদস্য বিশিষ্ট কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ওই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন রিয়াজকে মো.আকরাম হোসেন নামে এক প্রবাসীকে সদস্য করা হয়েছে। বাশার রানা স্বপন নামে একজনকে ভুয়া সদস্য করা হয়েছে। সৈয়দ রেজাউল করিম স্বপন নামে একজনের নাম কমিটিতে দু’বার এসছে। বিএনপির কতিপয় নেতা ও জেলা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার যোগসাজশে টাকার বিনিময়ে তৃণমূল ছাত্রদলের নেতাকর্মিদের মতামতকে উপক্ষো করে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই পকেট কমিটির অধিনে রাজনীতি করা সম্ভব নয় বিধায় কমিটির সদস্য সচিব মো.ইয়াছিন ফরহাদসহ ১৫ জন ছাত্রদল নেতা এ পকেট কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেছে। পদত্যাগকৃতদের মধ্যে রয়েছে উপজেলা ছাত্রদলের ৯জন আহ্বায়ক, সদস্য সচিব মো.ইয়াছিন ফরহাদ ও ৫জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদত্যাগের বিষয়টি আমি দেখেছি। তবে অফিসিয়ালি এ বিষয়ে এখনো কোন পদত্যাগ পত্র পাইনি। মওদুদ সাহেব মৃত্যুর পরে ওখানে অনেক গুলো গ্রুপ হয়ে গেছে। সকল প্রক্রিয়া মেনে এ কমিটি করা হয়েছে। একটি কমিটি করতে গিয়ে সকলকে খুশি করা সম্ভব নয়। টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার যে অভিযোগ ওঠেছে তা সঠিক নয়।
ইবাংলা /এইচ/ ১৬ জানুয়ারি, ২০২২