রাজধানীর গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাটে মোসারাত জাহান মুনিয়ার (২১) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় লাশের চূড়ান্ত ফরেনসিক পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদনে মুনিয়া গর্ভবতী ছিলেন। এখন ডিএনএ’র প্রতিবেদন হাতে এলেই মুনিয়ার গর্ভের সন্তানের বাবার পরিচয় মিলবে। পুলিশের একটি বিশেষ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ফরেনসিক প্রতিবেদনে তরুণী মুনিয়া মৃত্যুর আগে তিন থেকে চার সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতেেএকটি কুচক্রিমহল জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ নিহত মুনিয়ার স্বজনদের।
এদিকে বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের প্রেমিকা মুনিয়ার অন্তঃসত্ত্বা থাকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তারা ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া ও তার স্বামী মিজানুর রহমান সানি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গুলশান থানার ওসি মো. আবুল হাসান, তাঁর হাতে এখনো রিপোর্টের কপি বা কোনো কিছু পাননি বলে জানান। এছাড়া ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে আসেনি বলেও জানান ওসি।
তবে, ওসি মো. আবুল হাসান অন্য এক বক্তব্যে জানান, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে মুনিয়ার অন্তঃসত্ত্বা থাকার বিষয়টি ধারণা করেছেন চিকিৎসকরা। চূড়ান্ত ফরেনসিক প্রতিবেদনে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার তৃতীয় তলার একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তরুণী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতিমাসে এক লাখ ১০ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে মুনিয়াকে ওই ফ্ল্যাটে আনভীর রেখেছিলেন বলে অভিযোগ উঠে পরিবারের পক্ষ থেকে। এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। পরকীয়া ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আনভীরকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি বিভিন্ন মহল থেকে ওঠে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছিল, গত মার্চ মাস থেকে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত গুলশানের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন মুনিয়া। সেখানে তার কথিত প্রেমিক বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনভীর যাতায়াত করতেন বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
মুনিয়ার স্বজনদের দাবি, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েই মুনিয়াকে লাখ টাকার ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন আনভীর। দীর্ঘদিন ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পর দূরে সরে যেতে টাকা চুরি ও আত্মহত্যার নাটক সাজান প্রতারক প্রেমিক আনভীর। সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ
ই-বাংলা/ আইএফ/ ১০ জুলাই, ২০২১