চীন ও ভিয়েতনাম থেকে শিল্প-কারখানা সরিয়ে এনে অনেক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সিআইপি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, নানা কারণে চীন ও ভিয়েতনাম থেকে শিল্প-কারখানা সরিয়ে আনছেন বিনিয়োগকারীরা। অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে আসছে। আমাদের এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। তাদেরকে দেশের বিনিয়োগের দিকে টানতে হবে।
তিনি বলেন, এ বছর আমাদের রফতানি টার্গেট ১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে রফতানির টার্গেট নেওয়া হয়েছে ৮০ বিলিয়ন ডলার। আমরা আমাদের টার্গেট পূরণ করতে পারব বলে বিশ্বাস করি। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এটি সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাকে মন্ত্রীর চেয়ে বেশি ব্যবসায়ী ভাবা হয়। সবাই বলে আমি নাকি ব্যবসায়ীদের পক্ষে কথা বলি। এটা ঠিক না। দেশের ব্যবসায় বাণিজ্য না বাড়লে দেশের উন্নয়ন হবে না। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ব্যবসায় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনা করে দেশের স্বার্থে কাজ করি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমাদের কিছু সমস্যা হয়। তবে এখন সেই সমস্যা নেই। চলতি অর্থবছরে মাত্র ছয় মাসে ৩০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। এভাবে চললে আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।
এফবিসিসিআই এর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এ বছর আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানের খুলে দেওয়া হবে। এটি আমাদের জন্য আনন্দের। আমরা ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব। আমাদের মর্যাদা বাড়বে। আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। সেগুলো সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। এজন্য আমাদের পণ্যের মান বাড়াতে হবে। গবেষণা বাড়াতে হবে।
ইবাংলা/ টিআর / ২০জানুয়ারি