দেশের ১৬৭টি চা বাগানের মধ্যে ১৩৬টিই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে সর্বোচ্চ ৯১টি, হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২১টি, পঞ্চগড়ে ৮টি বাগান, রাঙামাটিতে ২টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বাগান আছে।
২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা-বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা-বাগানে এর আগে এরকম রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদিত হয়নি। যা গত বছরের (২০২০) চেয়ে ১ কোটি ১ লাখ ১১ হাজার কেজি বেশি।
বাংলাদেশ চা বোর্ড তথ্য সূত্রে আরো জানা গেছে- এ বছর (২০২১) চায়ের উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি শুধু উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা-বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকেও এ বছর (২০২১) রেকর্ড পরিমাণ ১৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে। যা গত বছর (২০২০) ছিল ১০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সব চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।
সরকারের আর্থিক প্রণোদনা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ প্রদান, বাগান মালিক ও শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, চা শ্রমিকদের মজুরি, রেশন এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২১ সালে দেশের চা উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চা শিল্পের সক্ষমতা অনেকাংশে বেড়েছে।
চা বোর্ড চেয়ারম্যান আরো জানান, উত্তরাঞ্চলে চা চাষীদের ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে শুধু সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে এ বছর (২০২১) গত বছরের (২০২০) তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দেশে ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়। এছাড়া ২০১৯ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিলো।
ইবাংলা/ এইচ/ ২০ জানুয়ারি, ২০২২