হাজারো আবেদন করেও চাকুরী মিললো না ঝনির

সাইদুর রহমান তসলিম, নরসিংদী

এনটিআরসিতে স্কুল এবং কলেজ দুটোতেই উত্তীর্ণ তিনি। আঙ্গুল গুনে গুনে ১২৭৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর জন্য লড়েছেন ঝনি। যোগ্যতায় ঘাটতি নেই পদও খালি পড়ে থাকে,তবুও স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে মেয়েটির। মিলছে না চাকুরী তার।

ফলে শিক্ষকতার স্বপ্ন ও চাকুরীর প্রয়োজন অপূর্ন এবং অধরাই থেকে গেলো তার এ যাবৎ। দিন গুনতে গুনতে নতুন চাকুরীর বয়সও পার। এ জীবনে বুঝি আর চাকুরী মিললো না ঝনির। তাই মানবিক কারনে এবার প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা তার।

৯ম এনটিআরসি পরীক্ষায় স্কুল ও ১১তম এনটিআরসি পরীক্ষায় কলেজে শিক্ষকতার যোগ্যতা লাভ হয় শাহনাজ পারভীন ঝনির। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার রামপুর গ্রামের প্রয়াত মাদ্রাসা শিক্ষক শিহাব উদ্দীনের মেয়ে তিনি।মা অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষিকা।স্ট্রোকের পর ব্রেন অপারেশন হয়েছে তার।ঝনি জানান,ঘুষ ছাড়া চাকুরীর আশায় এনটিআরসিকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি।

স্কুল ও কলেজে শিক্ষকতার আশায় এ জন্য ৩ দফায় ১২৭৭টি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর জন্য আবেদন করেন তিনি।এ বাবদ গাঁটের টাকা ব্যয় হয়েছে তার পাক্কা ২লাখ। টানাপোড়েনের সংসারে এ টাকা জোগাড় করতে সর্বস্বান্ত ঝনি। তার অভিযোগ,উপর্যুপরি পদ খালি থাকা সত্বেও এনটিআরসি কর্তৃপক্ষের দুর্বোধ্য নিয়োগ নীতির কারনে চাকুরী বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। এর সুরাহা পেতে কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়ে বেড়িয়েছেন।তবু কোন হিল্লে হলো না তার।

একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত অসহায় পরিবারের তদোধিক অসহায় ঝনির কপাল খুলেনি কোন কিছুতেই। তার ভাষায়,ন্যায় বিচার করা হয়নি তার উপর। আবেদন আছে,পদ খালি পড়ে থাকে।তবু নেয়া হয় না তাকে। এটি অবিচার নয়তো কি?নতুন করে চাকুরীর আবেদনের বয়সও ফুরিয়েছে তার।বিয়ে থা হয়নি ঝনির।সঙ্গী সাথীদের কেউ বাকী নেই বিয়ের। ফলে নানা বঞ্চনা হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন তিনি।

ঝনি জানান,এসব বঞ্চনা হতাশা পৃথিবীতে কারো কাছেই কহতব্য নয় তার।ঝনির প্রশ্ন- যোগ্যতা থাকা সত্বেও কেন তার এ বঞ্চনা? সরকার কি পারেন না তার একটা ব্যবস্থা করতে? কি ক্ষতি সরকারের একটা সুব্যবস্থা হলে তার? প্রধান মন্ত্রীর একটু সুনজর পেলেই জীবনের মোড় ঘুরে যেতে পারে শাহনাজ পারভীন ঝনির। সে ব্যবস্থা কি হবে কোনদিন?

ইবাংলা/ টিআর / ২০জানুয়ারি

শিক্ষকস্কুল ও কলেজেস্বপ্ন অধরাই
Comments (0)
Add Comment