ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সা’দাহ প্রদেশের একটি কারাগারে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বন্ধ করতে হবে।’
বিদ্রোহী মিলিশিয়া গোষ্ঠী হুতিদের শক্ত নিয়ন্ত্রণে থাকা সা’দাহ শহরের কারাগারটিতে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। অলাভজনক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস এ তথ্য দিয়েছে। সংস্থাটির হাসপাতালে দুই শতাধিক আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। একেবারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) হামলার ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনও ইয়েমেনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছেন। হামলার সময় প্রায় গোটা ইয়েমেনে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। হুতি মিলিশিয়া কর্তৃপক্ষ এজন্য টেলিকমিউনিকেশন স্থাপনায় হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে।
অন্যদিকে, সৌদি আরব হুদায়দাহ এলাকায় বিমান হামলার কথা স্বীকার করলেও সা’দাহ শহরে হামলার তথ্য সত্য নয় বলে জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। গত সোমবার হুতিদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) তিন জন নিহতের ঘটনার পর সৌদি জোট এ হামলা চালিয়েছে।
২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে শিয়া মতাদর্শের মিলিশিয়া গোষ্ঠী হুতি’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত লাখো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সরাসরি যুদ্ধের প্রভাবে ১০ হাজারের বেশি শিশু হতাহত হয়েছে। যুদ্ধের ফলে ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তু হতে হয়েছে এবং বিপুল মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে বসবাস করছে।
ইবাংলা/ টিআর/ ২২ জানুয়ারি