সত্য লিখতে গিয়ে যদি সাংবাদিকের মামলা হয়। আর মামলার সাথে সাথে গ্রেফতার হতে হয়, তাহলে সত্য লিখবে আর কে? আমরা যারা গণমাধ্যমে কাজ করি তারা কিন্তু নিজের জন্য কাজ করি না।
জনগণ যেন উপকৃত হয়, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করি। সাথে তথ্য প্রমাণ রেখেই কাজ করা হয়। তবুও মামলা দিয়ে হয়রানীর শিকার করা হয় আমাদেরই। প্রথম আলোর রোজিনা আপা ছিল কদিন আগে আজ আবার ঠাকুরগাঁওয়ের তিন সহকর্মীর নামে মামলা।
সাথে সাথে এক সহকর্মী ভাইকে গ্রেফতার! বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের অপব্যবহারে কাল হয়তো আমি আপনি যে কেউ হতে পারি মামলার শিকার। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর প্রতিবাদ করা একান্তই প্রয়োজন, এই প্রতিবাদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ।
ঠাকুরগাঁওয়ে তানুর জামিন মঞ্জুর হলেও দু’জন আজ রহিম শুভ ও আব্দুল লতিফ লিটু রয়েছে অনিশ্চয়তার মাঝে! বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু ভাইয়ের পোস্টটি নিম্নে দেওয়া হয়েছে।
পরিশেষে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সহকর্মীর অবিলম্বে মুক্তি চাই। সূত্র : Alfoysal OnikMedia Watch★মিডিয়া ওয়াচ
সিনিয়র সাংবাদিক এস এম আবুল হোসেন তাঁর নিজের ফেইজবুকে লিখেছেন- আসামী দুর্ধর্ষ না হলে বা তার দ্বারা জান ও মালের ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকলে হাসপাতালের শয্যায় কোনো আসামির হাতকড়া লাগানো বিআরবি পরিপন্থী। হাতকড়ার ব্যবহার নিয়ে আইন আছে পুলিশ প্রবিধান বা পিআরবিতে।
ওই বিধির ৩৩০ ধারায় বলা হয়েছে,‘বিচারাধীন বন্দিকে তাহাদের পলায়ন বন্ধ করিবার জন্য যাহা প্রয়োজন তাহার চাইতে বেশি কড়াকড়ি করা উচিত নহে। হাতকড়া বা দড়ির ব্যবহার প্রায় ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় এবং অমর্যাদাকর। এটা অতি উৎসাহি কিছু পুলিশের বাড়াবাড়ি।
সূত্র : S M Abul Hossain
ই-বাংলা/ আইএফ/ ১১ জুলাই, ২০২১