শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটক উন্মুক্ত করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় মূল ফটক উন্মুক্ত করে দেন তারা।
এছাড়া সাতদিনের অনশন ভাঙার পর এবার অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন:শাবির আন্দোলন যৌক্তিক, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১১টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- শিক্ষার্থী রোমিও নিকোলাস রোজারিও ও মোহাইমিনুল বাশার রাজ। তারা বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৫ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী টানা ১৬৩ ঘণ্টা ১৭ মিনিট অনশনরত থাকার পর অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের অনুরোধে অনশন থেকে সরে আসেন তারা। তবে আপাতত অনশন থেকে সরে আসা হলেও উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নাটক, গান, কবিতা আবৃত্তি, র্যালিসহ বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নেবে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শাবি ভিসির পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষকের মৌন প্রতিবাদ
অন্যদিকে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল তাদের ৫টি দাবি উপস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন। দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থদানের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর, অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার, অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ বহন, পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া।
এসব দাবি পূরণে শিক্ষার্থীরা আশ্বাস পেলেও মূল দাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণের দায়িত্ব ড. জাফর ইকবাল এবং ড. ইয়াসমিন হক নিয়েছেন। এছাড়া ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের দখলে থাকবে বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
ইবাংলা/ টিপি/ ২৭ জানুয়ারি,২০২২