সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০তে ১৭ রানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলকে জেতানোর পথে ডাবল হ্যাটট্রিক করেছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার। তার আগে আন্তর্জাতিক টি-২০তে ডাবল হ্যাটট্রিক করেছেন আরো তিন বোলার। রোববার (৩০ জানুয়ারি) টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন কাইরন পোলার্ড। এছাড়া রোভম্যান পাওয়েল ১৭ বলে ৩৪ রান, ব্রেন্ডন কিং ৩১ বলে ৩৪ রান ও কাইল মেয়ার্স ১৯ বলে ৩১ রান করেন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন দুইটি করে উইকেট নেন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২০ রান। যা প্রতিরোধ করতে হোল্ডারের হাতে বল তুলে দেন পোলার্ড। ওভারের প্রথম বলটিই নো বল হয়। প্রথম বৈধ বলটিতে কোনো রান পায়নি ইংল্যান্ড।
এরপর দ্বিতীয় বলে হেইডেন ওয়ালশের হাতে তালুবন্দী হন ক্রিস জর্ডান। তৃতীয় বলে আবার ওয়ালশের হাতে ক্যাচ আউট হন স্যাম বিলিংস। হ্যাটট্রিক পূরণ করার বলটিতে আদিল রশিদের ক্যাচ নেন ওডেন স্মিথ।
হ্যাটট্রিক করেই থামেননি হোল্ডার। টানা চতুর্থ বলটিতেও উইকেট শিকার করে ইংল্যান্ডকে অল আউট করার পাশাপাশি ডাবল হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব গড়েন। ডাবল হ্যাটট্রিক করার বলটিতে সাকিব মাহমুদকে বোল্ড করেন হোল্ডার।
এর মাধ্যমে ২০ ওভারের ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সংস্করণে চতুর্থ বোলার হিসেবে ডাবল হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়লেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে প্রথম ডাবল হ্যাটট্রিকটি এসেছিল রশিদ খানের হাত ধরে। এই আফগান লেগ স্পিনার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম এই রেকর্ড গড়েছিলেন।
রশিদের টানা চারটি বলে আউট হয়েছিলেন কেভিন ও’ব্রায়েন (ক্যাচ আউট), জর্জ ডকরেল (ক্যাচ আউট), শেন গেটকেট (স্টাম্পিং আউট) ও সিমি সিং (এলবিডব্লিউ)। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এই কীর্তি গড়েছিলেন রশিদ।
একই বছর সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিলেন মালিঙ্গা। টানা চার বলে মালিঙ্গা আউট করেছিলেন কলিন মুনরো (বোল্ড আউট), হামিশ রাদারফোর্ড (এলবিডব্লিউ), কলিন ডি গ্রান্ডহোম (বোল্ড আউট) ও রস টেলরকে (এলবিডব্লিউ)।
ডাবল হ্যাটট্রিকগুলোর মধ্যে একমাত্র বোলার মালিঙ্গা যিনি কোনো ফিল্ডারের সাহায্য ছাড়াই চারটি উইকেট পেয়েছেন। হোল্ডারের আগে সর্বশেষ ডাবল হ্যাটট্রিকটি এসেছিল গত টি-২০ বিশ্বকাপে। আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার এই কীর্তি গড়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
ক্যাম্ফারের বলে প্রথম আউটটি ছিল ক্যাচ আউট, উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন কলিন অ্যাকারম্যান। পরের তিন বলে আউট হন রায়ান টেন ডেসকাট (এলবিডব্লিউ), স্কট এডওয়ার্ডস (এলবিডব্লিউ) ও রিওলফ ফন ডার মারউই (বোল্ড আউট)।
ইবাংলা /নাঈম/ ৩১ জানুয়ারি, ২০২২