র্যাব এবং এর কয়েকজন কর্মকর্তাকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেবার পর গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে বিভিন্ন সভা সমাবেশে ‘উৎফুল্ল’ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাতকারে ড. কিবরিয়া বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় তিনি ‘আমেরিকার উপর একটু কৃতজ্ঞ’। তার বক্তব্য, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সাধারণ মানুষের উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘নির্যাতন প্রায় থেমে গেছে’।
ড. কিবরিয়া বিভিন্ন সভায় এও বলছেন যে, সামনে বাংলাদেশের আরও কিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে আমেরিকা। এসব খবর তিনি কি ধারণা থেকে বলছেন, নাকি দায়িত্বশীল কোন সূত্র থেকে খবর পেয়েছেন? সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ তৈরির উদ্দেশ্যে নানারকম বক্তব্য দিচ্ছেন ড. কিবরিয়া, এমন অভিযোগও করেন কেউ কেউ।
রেজা কিবরিয়া বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার একমাত্র ছেলে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারে শাহ কিবরিয়া অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৫ সালে এক গ্রেনেড হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়।
পিতা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থাকলেও রেজা কিবরিয়া গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পরে সাধারণ সম্পাদক হন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে হবিগঞ্জের একটি আসন থেকে জাতীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হয়েছিলেন, যেখানে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে অবশ্য গণফোরাম থেকে বেরিয়ে আসেন ড. কিবরিয়া।
গত বছর ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের সাথে গণঅধিকার পরিষদ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন ড. কিবরিয়া, যেখানে তিনি আহ্বায়ক হন।
পিতা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী হলেও তার নিজের ক্ষোভ আছে দলটির প্রতি সেকথা খোলাখুলিই বলেছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সূত্র : বিবিসি বাংলা
ইবাংলা/ ই/ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২