জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেন।
মাওলানা সালাহউদ্দিনের বড় শ্যালক হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে তিনি আরো জানান, মাওলানা সালাউদ্দিন অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার হার্টে রিং পরানো হয়েছিলো।
২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে মাওলানা সালাহউদ্দিনকে নিয়োগ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
১৯৪৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাওলানা সালাহউদ্দিন। ১৯৬৬ সালে স্থানান্তর হয়ে বন্দর ইউনিয়নের কলাবাগ গ্রামে বসবাস শুরু করেন।
১৯৬৪ সালে পূর্বপাকিস্তান মাদরাসা বোর্ড থেকে কামিল প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান ও ১৯৬৫ সালে একই বোর্ড থেকে যথাক্রমে আদব ও আদব কামিল প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন সালাউদ্দিন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানে উত্তীর্ণ হন। তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ও ১৯৮৪ সালে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ডিপ্লোমা প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
তিনি এক্সিম ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক সাউথ ইস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংকের শরিয়াহ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক শরিয়া কাউন্সিলের সদস্য ও ইসলামি ব্যাংক কেন্দ্রীয় শরিয়া বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
এছাড়া সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স ইসলামি তাকাফুলের শরিয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা সিটি কলেজ ও কাকলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শ্রীপুর বাগনাহাটি কামিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মাওলানা সালাউদ্দিন।
মাওলানা সালাহউদ্দিন তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করলেও বর্তমানে ঢাকার ঝিগাতলায় স্থায়ী ছিলেন।
মাওলানা সালাউদ্দিন ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে মাদরাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে একই মাদরাসার হেড মাওলানা হিসেবে তিনি বিদায় নেন। এছাড়া তিনি মহাখালী মসজিদে গাউসুল আজমের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইবাংলা/ এইচ/ ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২