দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের গভীরে বরগুনার অঞ্চলে প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে ২০টি মাছধরা ট্রলার ডুবে ৩০ জেলে নিঁখোজ হয়েছে বলে খবর জানা গেছে। এছাড়াও এসব ট্রলারের অন্তত ৩০ জন জেলে নিঁখোজ রয়েছে। এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৩০ জন জেলেকে।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ৩০ জেলে ও ২০ ট্রলার নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফিশিং বোট মালিক এসোসিয়েশন ও বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দরবন সংলগ্ন গভীর সমুদ্রের ফেয়ার বয়া এলাকায় এসব ট্রলার ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত ৩০ জেলে উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলে ও ট্রলার মালিক সংশ্লিষ্টরা। ট্রলারডুবি ও নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণাও করছেন তারা।
কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো: রুস্তম দুপুর ১টা পর্যন্ত ২টি ট্রলার ও ৩ জেলে উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন।
নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মধ্যে এফবি মায়ের দোয়া, এফবি আনিছ ও এফবি ইলিয়াসের নাম জানা গেছে।
এফবি মায়ের দোয়া ও এফবি আনিছ ট্রলার মালিকের বরাত দিয়ে মোস্তফা চৌধুরী বলেন, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানের জন্য জেলা ট্রলার মালিক সমিতির পক্ষ থেক উদ্ধার অভিযানে কয়েকটি ট্রলার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং কোস্টগার্ডকেও জানিয়েছি। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো জানান, শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩০ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো অন্তত ৩০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন ও ২০টি ট্রলার ডুবির ঘটনা আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। জেলেদের নিখোঁজের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও ধারণা করেন তিনি।
এ বিষয়ে মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটার প্রায় ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে। এই দীর্ঘ সময়েও যখন তাদেকে উদ্ধার করা যায়নি তাতে আমাদের ধারণা এখন আর কেউ বেঁচে নেই।
এ বিষয়ে লেফটেন্যান্ট মো: রুস্তম বলেন, ট্রলারডুবির খবর পাওয়ার পর রাত থেকে আমাদের পেট্রলিং টিম সাগরে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২টি ট্রলার এবং ৩ জেলেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমাদের পেট্রলিং টিম বর্তমানে নেটওয়ার্কের বাহিরে থাকায় এর চেয়ে আপডেট জানাতে পারছি না।
ইবাংলা/ ই/ ৫ ফেব্রুয়ারি,২০২২