বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমানের নেতৃত্বে শহরের হোটেল হিলবার্ড চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মুজিবর রহমান বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পরও পাহাড়ে জনসংহতি সমিতি জেএসএস এর সন্ত্রাসী বাহিনী সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, গুম, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড অব্যাহত রাখছে।
সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস পার্বত্য চুক্তি করলেও তারা পাহাড়ে অশান্তি করে সাধারণ মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে রাখছে। এমনকি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকেও তারা লক্ষ্য করে খুন-হত্যার মত ঘৃণ কর্মকান্ড করছে। কাজী মুজিবর রহমান সেনাবাহিনীর সদস্যকে খুন ও গুলি করে আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানান এবং সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস সন্ত্রসীরা গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি সেনা টহল দল অভিযানে বের হলে বথিপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা সেনা টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি করলে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
এছাড়াও টহল দলের সদস্য সৈনিক মো. ফিরোজ ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় বর্তমানে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সেনা কর্মকর্তার হত্যা ও সৈনিক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ ও খুনীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করা হয়। সমাবেশ থেকে সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারীদেও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সদস্য বলে দাবি করা হয়।
এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। এসব অবৈধ তৎরপতা ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জোরালে ভূমিকা রাখার আহবান তাঁরা।
এ বিক্ষোভ সভায় আরও বক্তব্য দেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, মাওলানা আবুল কালাম সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো. তারুমিয়া।
ইবাংলা/ ই/ ৫ ফেব্রুয়ারি,২০২২