বরগুনার বেতাগী উপজেলায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস প্রায় সব সময়ই থাকে তালাবদ্ধ। নারীরা সেবা নিতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অফিস বন্ধ থাকায় সেবা না নিয়েই ফিরে যান ভুক্তভূগীরা। বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সু্হৃদ সালেহীন জানান প্রায় এক মাস যাবত অফিস করেন না মহিলা কর্মকর্তা।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম নিজের খেয়ালখুশি মতো অফিস করেন। তাঁকে ফোন করলেই শোনা যায় হাজারো অজুহাত। বিশেষ করে তিনি বেতাগী উপজেলার দায়িত্বের পাশাপাশি তালতলী উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণে যে উপজেলা থেকে ফোন করা হয় শুনেই অন্য উপজেলায় থাকার কথা বলেন। আবার মাঝে মধ্যে তিনি জেলা অফিস ও ঢাকায় অফিশিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকার কথা জানান। এ কারণে বেতাগী উপজেলার নারীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সেবাবঞ্চিত হোসনাবাদ ইউনিয়নের ফুলবানু বেগম বলেন, এই অফিসে এসে বন্ধ দেখছি। অনেক দূর থেকে এসেছি, কী করব বুঝতে পারছি না।
রাবেয়া নামে আরেক নারী বলেন, আমি এই সপ্তাহে তিনদিন এসে অফিস তালাবদ্ধ পেয়েছি। এখন পর্যন্ত ম্যাডামের সাক্ষাৎই পেলাম না। এই অফিস সব সময় তালাবদ্ধ থাকে বলে শুনেছি। একই ধরনের অভিযোগ করেন সিমা বেগম, আফরোজা আক্তারসহ একাধিক নারী ভূক্তভূগীরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে বেতাগী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম বলেন, আমি প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকা এসেছি। তাই অফিস করতে পারিনি। তবে তিনি কবে থেকে ছুটিতে আছেন এবং কবে ফিরবেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে ফোনটি কেটে দেন।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নি বলেন, বেতাগী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ছুটিতেও নেই, কেন অফিস করেন না তাহা আমি অবগত নেই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস বন্ধ থাকার খবর পেয়েছি। তিনি প্রায় এক মাস যাবত অফিসে আসেননি, তবে ওই দপ্তরের কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম আমাকে জানিয়েছেন তিনি প্রশিক্ষণে গেছেন।
ইবাংলা/ এইচ/ ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২