নাসা বলছে, খামখেয়ালি করে চাঁদ তার নির্ধারিত গতিতে হাঁটছে না। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণের সময় কক্ষপথে তার এই ‘টলতে টলতে’ চলার কারণেই ভয়াবহ বিপদ নেমে আসতে পারে পৃথিবীতে। আর এক দশকের মধ্যেই ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়বে পৃথিবী নামক এই গ্রহ
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই উদ্বেগজনক খবর দিয়েছে। নাসার বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এ। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
গবেষণা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভয়াবহ বন্যাটি ডেকে আনবে চাঁদের এই খামখেয়ালিপনা। সাগর ও মহাসাগরগুলোর জলস্তর অস্বাভাবিকভাবে উঠে এসে ডেকে আনবে সেই ভয়াল বিপর্যয়, যা খুব ঘনঘন হবে।
জলের তলায় টানা কয়েক মাস রেখে দেবে আমেরিকাসহ সমুদ্র উপকূলবর্তী বহু দেশের বহু শহর ও গ্রাম। গবেষণাপত্রটি জানিয়েছে, কক্ষপথে একটু ঝুঁকে পড়ে চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে আর নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেই ঝুঁকে থাকা অবস্থায় চাঁদ ‘টলোমলো পায়ে হাঁটে’ বলেই তা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণের পথে সাড়ে ১৮ বছরের একটি চক্র রয়েছে চাঁদের।
এর অর্ধেক সময় চাঁদের জন্য পৃথিবীর সব সাগর, মহাসাগরে ভাটার চেয়ে জোয়ারের পরিমাণ ও প্রাবল্য বেশি হয়। চক্রের বাকি অর্ধেক সময় উলটোটা হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর সব সাগর ও মহাসাগরে জোয়ারের চেয়ে ভাটার পরিমাণ ও প্রাবল্য বেশি হয়। চাঁদ কক্ষপথে এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে পৃথিবীর সব সাগর, মহাসাগরে ভাটার পরিমাণ ও প্রাবল্য একটু বেশি জোয়ারের চেয়ে।
ই-বাংলা/ আইএফ/ ১৪ জুলাই, ২০২১