ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাডেমিক ভবনগুলোর অধিকাংশ শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, অচল ট্যাপ, নেই দরজার ছিটকিনি ও পানি ব্যবহারের বদনা। এছাড়া লাইটের আলো না থাকা সহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত শৌচাগারগুলো।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দিনের পর দিন পরিষ্কার না করা ও তদারকির অভাবে নোংরা হয়ে পড়েছে শৌচাগারগুলো। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ করেও এ বিষয়ের কোন সমাধান মেলেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি একাডেমিক ভবনের অধিকাংশ শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় অপরিচ্ছন্ন ও বিকট দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়েছে শৌচাগারগুলো। কিছু কিছু শৌচাগারে নেই পানির বদনা ও দরজার ছিটকিনি। অনেক শৌচাগারে নেই লাইট, থাকলেও সেগুলো জ্বলে না।
বেসিনের ট্যাপে পানি আসে না, আবার কোনোটিতে ট্যাপই নেই। কোনটির পানির ট্যাপ ভেঙে অনবরত পানি পড়ে শৌচাগারের মেঝে স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। অনেক বেসিনের উপরে আয়না নেই, অনেক স্থানে থাকলেও তার উপর পড়ে আছে ময়লার আস্তরণ। এ বিষয়ে কয়েক দফা দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের মাঝে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাফায়েত হোসেন বলেন, ‘দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে শৌচাগারের ভেতরে প্রবেশ দায়। এমনই বেহাল অবস্থা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। মাঝে মাঝে ক্লাস-পরীক্ষার ফাঁকে এ ভবনে শৌচাগার ব্যবহারকারীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাচ্ছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের প্রধান টিপু সুলতান বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে আমরা আমাদের কাজ ঠিকমত করতে পারছিনা। আমাদের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা ততটুকুই দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী অফিস প্রধান মুন্সি শহীদ উদ্দীন মোহাম্মদ তারেক বলেন, ‘কোন কোন ভবনে সমস্যা এটা তো আমাদের জানা নেই। কি কি সমস্যা ডিন অফিস তালিকাভুক্তি দিলে আমরা আবেদন জানাবো। আবেদনের পরে বাজেট হলে আমরা কাজ শুরু করবো।’
ইবাংলা/ ই/ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২