শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়ক উন্নয়নে সরকার মহা-পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। এ সড়কটি উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৮’শ কোটি টাকারও বেশী বরাদ্ধ করেছে। ইতোমধ্যে ৪টি গ্রুপে এ কাজের দরপত্র আহবান করে দুটি গ্রুপে কার্যাদেশ দিয়েও জমি অধিগ্রহনে বিলম্ব হওয়ায় কাজের অগ্রগতি হচ্ছেনা। কাজ শুরু করে আবার বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন বলছে জমি অধিগ্রহনের কাজ চলছে এবং কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছে।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুর-চাদঁপুর মহাসড়ক উন্নয়নে সরকার ২০২০-২১ অর্থ বছরে মহাপরিকল্পনা গ্রহন করে ৮’শ ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে। এরমধ্যে ৯৫ দশমিক ৮৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহনের জন্য বরাদ্ধ করা হয়েছে ৪’শ ৩১ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৭০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৪টি গ্রুপে এ কাজের দরপত্র আহবান করেছে। দুটি গ্রুপে কার্যাদেশ দিয়েও জমি অধিগ্রহনে বিলম্ব হওয়ায় কাজের অগ্রগতি হচ্ছেনা। এসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মেসার্স অটি বিএল, মেসার্স অটি বিএল জেবি হাসান টেকনো, মেসার্স মীর হাবিবুর আলম।
এ ৪টি গ্রুপের মধ্যে আলুর বাজার ফেরী ঘটের নিকট ও মনোহর বাজারের নিকট অর্থাৎ ১নং ও ৪নং গ্রুপের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। ৪নং গ্রুপের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুর আলম গত ডিসেম্বর কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করে। মাত্র ২কিেিলামিটার সাববেইজ-২ কাজ করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে জমি অধিগ্রহন না থাকায় কাজ করতে পারছেনা।
১নং গ্রুপে কোন জমি অধিগ্রহন করা না থাকায় কাজ শুরুই করতে পারছেনা। তবে সড়ক জনপথ সূত্র বলছে জমি অধিগ্রহনে ২২টি প্রস্তাব রয়েছে।
এরমধ্যে একটি মাত্র চুড়ান্ত হয়েছে। ৪টি প্রস্তাব চুড়ান্ত প্রাক্কলনের পর্যায়ে রয়েছে। ৪টি যৌথ তদন্ত হয়েছে। বাকি গুলো যৌথ তদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে জমি অীধগ্রহন কাজ শেষ করা খুবই জরুরী। এ সড়কটি অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক। দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার ভারী যানবাহন সহ সবধরনের যানহন এ সড়কে চলাচল করে থাকে।
বিশেষ করে বর্ষ মৌসুম কাটিয়ে উঠে পুরোদ্দমে কাজ শুরু করতে না পারলে ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবেনা। তাতে করে কাজের যেমন ক্ষতি হবে, তেমনি নির্মাণ সামগ্রীর দাম দিন দিন বেড়ে যাবে। সড়কটি খারাপ থাকলে জনদুর্ভোগ বেড়ে যাবে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহিবুল্লাহ বলেন, ৪নং গ্রুপের কাজ শুরু হওয়ার পর ২ কিঃ মিঃ সাববেজ-২ শেষ করার পর জমি অধিগ্রহন না থাকায় কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেদোয়ানুর রহমান ভুইয়া বলেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে ৪টি গ্রুপে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। দুটি কার্যাদেশ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৪নং গ্রুপের কাজ শুরু করে জমি অীধগ্রন না থাকায় কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। জমি অধিগ্রহনে ২২টি প্রস্তাব রয়েছে। এরমধ্যে একটি মাত্র চুড়ান্ত হয়েছে। ৪টি প্রস্তাব চুড়ান্ত প্রাক্কলনের পর্যায়ে রয়েছে। ৪টি যৌথ তদন্ত হয়েছে। বাকি গুলো যৌথ তদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জরুরী ভিত্তিত্বে জমি অধিগ্রহনের কাজ শেষ করা হলে সড়ক উন্নয়নের কাজ পুরোদ্দমে শুরু করে দিব।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, জমি অধিগ্রহনের কাজ চলছে। এ কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছে।