খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গম আত্মসাতের অভিযোগ

গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা

বরগুনা সদরের সাবেক ওসিএলএসডির বিরুদ্ধে গম আত্মসাৎ (চুরি) করার লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে এ অভিযোগে দায়ের করা হয়। তিনি এ বিষয়ে বরগুনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদরের সাবেক খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আবুবক্কর সিদ্দিক কর্মকালীন সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং কমিটি কর্তৃক দায়িত্বভার গ্রহন করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট কমিটি তাকে দৈবচয়নের মাধ্যমে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন যা সরকারী মজুদ। আবু বক্কর সিদ্দিক সেই মজুদ খাদ্যশষ্য খামালকার্ড, তদাম লেজার/ সেন্ট্রাল লেজারে রেকর্ডভুক্ত করার জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন করেন।

আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাহার আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট/ কমিটি কর্তৃক যাচাইকৃত খাদ্যশষ্য রেকর্ডভুক্ত করার জন্য খোলা মাসা নিয়ন্ত্রককে অনুমতি দেন এবং কমিটি তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী ম্যাজিট্রেটের প্রতিবেদন অনুসারে রেকর্ডকৃত করেন।

প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর ওসিএলএসডি আবু বক্কর সিদ্দিক খামাপন গ/১৯/৮২৮৫ ২৬/২০১৯-২০ থেকে উপরিলিখন/ ফ্লুইড ব্যবহার করে কমিটির রেকর্ডভুক্ত ১১৩ বস্তায় ৫.৬৪০ মে.টন খাদ্যশষ্য থেকে ৪৪ বস্তায় ২৬২৮ বানিয়ে নাকি খাদ্যশষ্য ডিওর মাধ্যমে বিপিবিতরন করে খামাল শেষ করেন এবং খামালে ০ বস্তায় ১৫২ কেজি ঘাটতি দেখিয়ে মোট ৬৯ বস্তায় ৩.৬৫২ মে.টন চুরি/আত্মসাৎ করেন।

অভিযুক্ত ওসিএলএসডি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল এটা করছে। আমি দোষী হলে তদন্ত কমিটি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে (তদন্তকারী প্রধান) বরগুনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, সাড়ে ৩ টন গম আত্মসাতের বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রমাণ হলে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইবাংলা/ জে এন/ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

অভিযোগআত্মসাতেরখাদ্য কর্মকর্তা
Comments (0)
Add Comment