বান্দরবানের রুমা পাইন্দু ইউনিয়নে রাঙামাটি জেলার অতি দুর্গম বড়থলী ইউনিয়নের ১ নং ও ২ নং এই ২টি ওয়াডের ২৫৫টি হোম সোলার সিস্টেম বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই সোলার সিস্টেম বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সোলার প্রকল্প পরিচালক হারুনর রশিদ । এতে অন্যান্যের মধ্যে রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন শিবলী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবানের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আব্দুল আজিজ, পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা, বড়থলী ইউপি চেয়ারম্যান আ প্রু মং মারমাসহ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও গন্যমান্যব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের সুবিধার মাধ্যমে পাহাড় যেমন আলোকিত হবে, তেমনি নানা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এর ফলে পাহাড়ে সত্যিকারের উন্নয়ন হবে। পাহাড়ের দূর্গম অঞ্চলের প্রতিটি ঘর সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করা হবে। পাহাড়ের কোনো গ্রামই অন্ধকার থাকবে না।
তিনি আরও বলেছেন, পাহাড়ের তিন জেলার যেসব অঞ্চলে বিদ্যুত পৌঁছানো সম্ভব নয়, সেসব অঞ্চলে হোম সোলার সিস্টেম বিতরণের মাধ্যমে আলোকিত করা হবে। এই প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের ঐক্যন্তিক প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বান্তবায়ন করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং এখনো যেখানে সোলার প্যানেল বিতরণ সম্ভব হয়নি সেখানে অতি শিগ্রই সোলার প্যানেল বরাদ্দ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য রাঙামাটির বড়থলী পাড়া থেকে ২দিন পায়ে হেটে এসে পাইন্দু ইউনিয়নের আরতাহ পাড়া থেকে উপকার ভোগীরা এই হোম সোলার সিস্টেম গ্রহণ করেন।
সোলার সিস্টেম বিতরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হারুনর রশিদ জানান, রাঙ্গামাটি জেলার বড়থলী ইউনিয়ন অতি দুর্গম হওয়ায় যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় বড়থলী ইউনিয়নের ৬৬৭টি সোলার সিস্টেম রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়ন হতে বিতরণ করা হচ্ছে।
ইবাংলা/ এইচ/ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২