দেশের নাট্যাভিনেতা সোহেল খানের ছেলে মুশফিকুর রহমান খান সফলের (২৫) বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন এক তরুণী।
ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে , ধর্ষণের পর মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সফল খান। টাকা না দেওয়ায় সেই ভিডিও ওই তরুণীর স্বজনদের মোবাইলে পাঠিয়ে দিয়ে উল্টো হত্যার হুমকি দেন অভিযুক্ত সফল।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই তরুণীর মামলা নম্বর ১৪। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান খান সফলকে গ্রেপ্তার করেন ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ।
ওই দিনই আদালতে সোপর্দের পর সফল খানকে ২ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা ও ভিডিও ছড়ানোর প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা অভিযুক্তকে ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পেয়েছি।
ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীর করা অভিযোগের বেশ কিছ প্রমাণও আমরা পেয়েছি। আপত্তিকর ভিডিও ধারণের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। ঘটনার সঙ্গে সফলের সংশ্লিষ্টতা আমরা পেয়েছি। অনেক কিছু তিনি স্বীকারও করেছেন। রিমান্ড শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করব।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে সফল খানের সঙ্গে মাটিকাটা এলাকায় পরিচয় হয় ভুক্তভোগী তরুণীর। সেসময় বোনের বাসায় থাকতেন অভিযুক্ত সফল। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ হতো। এক পর্যায়ে তাদের বন্ধুত্ব হয়।
বাসা পরিবর্তনের পর ২০১৯ সালের শুরুর দিকে সফল খানের বোন সেই বাসায় যেতে বলে। যাওয়ার পর সফল এবং ওই তরুণীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখে সফল খান।
শুধু তাই নয়, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় সফল খান উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত সিভিস ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে নিয়ে ফের ধর্ষণ করেন।
এরপর ওই তরুণীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন সফল খান। টাকা না দিলে ধর্ষণের ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
ইবাংলা/জেএন / ২৩ ফ্রেব্রুয়ারি,২০২২