আজ সেই ভয়াবহ ২৫ ফেব্রুয়ারি। তের বছর কেটে গেলেও চুড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের কলঙ্কময় ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলা।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলাটি আপিল শুনানির অপেক্ষায় থাকলেও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলাটি ঝুলে আছে বিচারিক আদালতেই। হত্যা মামলাটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে আপিল শুনানি করার দাবি জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। আর অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, এ বছরই শুনানি শুরু হতে পারে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তখনকার বিডিআরের পিলখানা সদরদপ্তরে ঘটে বিদ্রোহ। তা রূপ নেয় বর্বরতম হত্যাযজ্ঞে। প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা।
সে ঘটনায় করা হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আলাদা দুই মামলায় আসামি করা হয় ৮৫০ জনকে। এগুলোর বিচারও শুরু হয় একসঙ্গে। এছাড়া বাহিনীর নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলায় প্রায় ৬ হাজার জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে হত্যা মামলাটির বিচার শেষ হলেও নিষ্পত্তি হয়নি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাটি। যে কারণে হত্যা মামলায় খালাস পেলেও দুইশ’র বেশি আসামি মুক্তি পাচ্ছেন না।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে যে মামলা করা হয়েছে তার সাক্ষী রয়েছে ১২৬৪ জন। তার মধ্যে এই ১৩ বছরে রাষ্ট্রপক্ষ মাত্র ২০০ জনের সাক্ষী নিয়েছে। এই গতিতে এই মামলা যদি চলমান থাকে তাহলে আগামি ১৩ বছরেও এর নিষ্পত্তি হবে না। এটা তাদের অবহেলা। তারা চাচ্ছে না এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হোক।
চলতি বছরই হত্যা মামলার আপিল শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, অনেকগুলো মামলা যেহেতু একসাথে আশা করছি এই বছরের মধ্যে শুনানি করা হবে। ফাঁসির আদেশকে রুপান্তর করে যাবজ্জীবন করা হয়েছে। আমরা তা চ্যালেঞ্জ করেছি। আমাদের মনে হয়েছে যে তারা ফাঁসির প্রাপ্য ছিল।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন শাস্তিকেও কমিয়ে দেয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি যে তাদের পূর্ন শাস্তি পাওয়া উচিত। তবে এসব মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ বেঞ্চ করার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন তিনি। সূত্র : ডিবিসি নিউজ
ইবাংলা/ ই/ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২