সাত বছর পর সিরাজগঞ্জ জেলা আ.লীগের সম্মেলন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

দীর্ঘ সাত বছর পর আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।

এই সম্মেলন ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নেতাকর্মীরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে। প্রবীণ ও নতুনের সমন্বয়ে আরও শক্তিশালী হবে সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগ।

ইতোমধ্যেই প্রার্থীরা দোয়া, আশীর্বাদ, ভোট প্রার্থনাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও কাউন্সিলরদের সঙ্গে মত বিনিময় করছেন। সম্মেলনের মাধ্যমে জেলার নেতৃত্বে তথা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে কারা আসছেন তা নিয়েও জোর জল্পনা-কল্পনা চলছে।

সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে সম্মেলনের ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনকে ঘিরে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হওয়ায় সিরাজগঞ্জে এমন বিশাল আয়োজন ও নির্বাচনি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা শহরের প্রতিটি রাস্তায় তৈরি করা হয়েছে বিশাল বিশাল তোরণ। ইতোমধ্যেই পদপ্রত্যাশীদের ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে সিরাজগঞ্জ শহরসহ অন্যান্য উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দীর্ঘ সাত বছর পর এ সম্মেলন হতে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

জেলা সম্মেলনে সভাপতি পদে চার জন, সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচ জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সভাপতি প্রার্থীরা হলেন– জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, দলের সহ-সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জজ কোর্টের পিপি গাজী আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাশ।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা হলেন– জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুস সামাদ তালুকদার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামসুজ্জামান আলো, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ফারুক, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট।

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে কাউন্সিলররা যাকে সাধারণ সম্পাদক পদে চান তার সঙ্গে থেকেই দলের জন্য কাজ করবো।’

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, ‘সম্মেলন ঘিরে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। সম্মেলনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সবাই প্রস্তুত। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই আমার কাছে চূড়ান্ত। কাউন্সিলরদের ভোট আর সম্মেলনে আগত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তে আমাকে দায়িত্ব দিলে অবশ্যই পালন করবো ইনশাল্লাহ।’

ইবাংলা/ ই/ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

জেলা আ.লীগেরসম্মেলন
Comments (0)
Add Comment