একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত বিশ্বে রেকর্ড স্থাপন করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বলেন, ‘একদিনে আমাদের এক কোটি ডোজ করোনা টিকা দেবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু দিন শেষে আমরা ১ কোটি ১১ লাখ প্রথম ডোজ এবং আরো ৯ লাখ টিকার ২য় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। এটি নিঃসন্দেহে বিশ্বে প্রথম ঘটনা।’
জাহিদ মালেক আজ রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার নবনিয়োগকৃত চিকিৎসকের ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগেও আমরা একদিনে ৮০ লাখ ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। এই কার্যক্রম সফল করতে আমাদের ১ লাখেরও বেশি মানুষ কাজ করছে। বিশ্বের বহুসংখ্যক দেশেরই ১ কোটির বেশি মানুষ নাই। সেখানে দিনে ১ কোটি ডোজ টিকা দেবার সক্ষমতা আমাদেরকে করোনা মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম করেছে এবং বিশ্বের ১০ম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেশের মানুষকে দিতে সক্ষম হয়েছি। এতে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৩ ভাগ এবং আমাদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় শতভাগ সম্পন্ন করতে পেরেছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় উপস্থিত নবনিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের নিজ নিজ পোস্টিংকৃত এলাকায় যোগদান করে নিজেদের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের নির্দেশনা দেন।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্যেশ্যে বলেন, আগে দেশে মাত্র ১৮ হাজার চিকিৎসক ছিল। কিন্তু গত ৫ বছরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা নতুন করে ১৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। আগে দেশে নার্স ছিল মাত্র ২০ হাজার। গত ৫ বছরেই আরো নতুন করে ২০ হাজার নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং আরো অনেক নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, সব কিছুর লক্ষ্য হচ্ছে ভালো মানের চিকিৎসা সেবা। সেই ভালো মানের চিকিৎসা দিতেই সরকার আপনাদের নিয়োগ দিল। আপনারা নিজ নিজ কর্মস্থলে গিয়ে অসহায়, দরিদ্র মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। সরকার আপনাদেরকে আবাসন সুবিধাসহ সকল ধরনের সুবিধা বৃদ্ধি করবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন।
আরও ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ।
ইবাংলা/ ই/ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২