কেরানীগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ৪ এর হাসনাবাদ জোনাল অফিসের কো-অর্ডিনেটর উৎসব কুমারের দুর্নীতি অনিয়ম সীমাহীন। হাসনাবাদে তিন বছর চাকুরী করে অবৈধ অর্থের মালিক বনে গেছেন তিনি। তার নাবালক ছেলে যুবরাজ এর নামে এক কোটি টাকার জমি কিনে ছেলের নামে সাইনবোর্ড লাগান। জমিটি আইন্তা হাসপাতালের কাছে। এ বিষয়টি নিয়ে অফিসে কানাঘুষা হলে সাইনবোর্ডটি নামিয়ে ফেলেন।
নির্ভর যোগ সূত্র জানায়, উৎসবের বসুন্ধরা রিভার ভিউ এর মধ্যে প্লোট ও ফ্লাট রয়েছে। তার স্ত্রী পলি রানীর নামে প্রায় কোটি টাকা মূল্যর বাড়ি কিনেছেন শ্বশুর বাড়ি এলাকায় । তিনি এ সবই করেছেন দুর্নীতির মাধ্যমে। সরেজমিন খোজ নিয়ে জানা যায়, সুপার নূর বেকারীর এমডি মিলনের ইকুরিয়া টিলাবাড়ীতে লোড ১২ কিঃ ওঃ।
সেখানে নেই সোলার স্থাপন ফাইলে শুধু মেমো আছে, ক্যপাসিটর ও গ্রাউন্ডিং নাই। তারপরও বিদুৎ সংযোগ দিয়েছে উৎসব। আরএফআর এমব্রয়ডারী পারগেন্ডারিয়া এমডি রফিকুল ইসলামের ওই প্রতিষ্টানে নেই সোলার ও ক্যপাসিটর তারপরও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সংযোগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে উৎসব কুমারের বিরুদ্ধে।
ভূষনছড়া করাতকল তেঘরিয়া, শান্তা টিম্বার তেঘরিয়া, কাসফিয়া এন্ড জারিয়া এন্টারপ্রাইজ দোলেশ্বর এর কোনটাতেই সোলার নাই, ক্যপাসিটর নাই, কড়াতকলের লাইসেন্স নকল, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই সংযোগ দিয়েছে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে। ক্লাচ মোটরস, (গাড়ির বডি তৈরী করে) হাসনাবাদ ঔষধ কারখানার সামনে সেখানেও সোলার ও ক্যাপাসিটর ছাড়াই সংযোগ দিয়েছে উৎসব কুমার ।
তিনি ঘুরে ফিরে হাসনাবাদ বিদ্যুৎ অফিসে পোস্টিং নেন। কারন এখানেই তিনি অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছেন। এসব বিষয়ে বিআরইবি’র উর্ধতন এক কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে বলেন, তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, বসুন্ধরা রিভার ভিউ হাউজিং এর ভিতরে মিন্টু হাওলাদারের প্লটে সারে ৬ তলা বিল্ডিং এ ওয়্যারিং ইন্সপেক্টর মিজানুর সরসরি ৫ লক্ষাধিক টাকা চুক্তি করে সংযোগ দিয়েছে। সেখানে সোলার নাই ফাইলে শুধু ক্যাশ মেমো আছে, কোন ক্যাপাসিটর নাই। দূর্গা দাস গ্রাম- পারগেন্ডারিয়া ঋষি পাড়া চার্জিং স্টেশন এ সংযোগ দিয়েছে। এখানে অফিস হতে ফ্রি লাইন ও ট্রান্সফরমার দিয়েছে।
কিন্তু দালাল সোহেলের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মিজান নিয়েছে। এভাবেই দুর্নিতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা আর রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর অস্বীকার করেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর আর কোনো কথা না বলে প্রতিবেদককে এড়িয়ে যান । এরপর একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
উল্লেখ্য যে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ৪.৫৪ মিনিটে মুঠো ফোনে কো অর্ডিনেটর উৎসব কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি পরে যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর ২৪ তারিখ ১১.৫২/১১.৪৩মিনিটে ফোন দিলে রিসিভ করেননি। তারপর গত ২৮তারিখ ১২.২৬ মিঃ ফোন দিলে রিসিভ করেননি। এমনকি ফোন ব্যাক করেননি উৎসব কুমার। যে কারণে তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
ইবাংলা/ জেএন/ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২